ছিঃ: এ ভাবেই আবর্জনায় ভরেছে পথ। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধারেই খোলা ভ্যাট। পাশেই উন্মুক্ত প্রস্রাবাগার। সে সবের দুর্গন্ধে পথ হাঁটাই দায় মানুষের। পূতিগন্ধময় সেই পরিবেশ এড়াতে পথচারীরা মাঝ রাস্তায় চলে আসেন। নাকাল অবস্থা হয় স্থানীয় স্কুলের পড়ুয়াদেরও। গার্ডেনরিচ রোড সংলগ্ন এই ছবি মেটিয়াবুরুজের প্রবেশপথ কাচ্চি সড়ক মোড়ের।
বুধবার ওই মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার পাশে জঞ্জাল স্তূপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে বস্তা, বাতিল প্লাস্টিক। দেওয়ালের গায়ে অবাধে প্রস্রাব করে যাচ্ছেন অনেকেই। ফলে দুর্গন্ধে এলাকায় টেকাই দায়। কাচ্চি সড়ক মোড়ে ভ্যাটের উল্টো দিকে পরপর কাপড়ের দোকান। ফলে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের যাতায়াত লেগেই থাকে ওই এলাকায়। কাছেই রয়েছে একটি স্কুল। পড়ুয়াদের হাঁটাচলার ভরসাও ওই রাস্তা। এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ‘‘রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় সমানে প্রস্রাব করে যাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ থেকে পথচারীরা।’’ এক স্কুলছাত্রী নাফিসা বানু বলছে, ‘‘কাচ্চি সড়ক মোড় দিয়ে স্কুলে যাওয়াআসা করতে হয়। কিন্তু ওই রাস্তা পার হওয়া আমাদের কাছে দুর্বিষহ। একে জঞ্জালের স্তূপ, তার উপরে খোলা রাস্তায় এমন দৃশ্যদূষণ যে পথ চলতেই লজ্জা লাগে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কাচ্চি সড়ক মোড়ের কাছাকাছি রাস্তা লাগোয়া একটি খোলা ভ্যাটকে শিশুদের উদ্যান করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, তেমন করেই এই ভ্যাট ও প্রস্রাবাগার সরিয়ে গণশৌচালয় হলে এলাকাটি দূষণমুক্ত হতে পারে। কাচ্চি সড়ক মোড়ের বেহাল দশার জন্য কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা এলাকাবাসীদের একটি অংশকেই দুষছেন।
এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। সেখানে জঞ্জাল না ফেলে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। আবার দূষণের কথা চিন্তা না করে খোলা জায়গায় প্রস্রাবও করছেন। এ সব তো মানুষ নিজে সচেতন না হলে প্রশাসনের শত চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু করার নেই।’’ কাচ্চি সড়ক মোড়ে খোলা ভ্যাট ও উন্মুক্ত প্রস্রাবাগারের কারণে এলাকা যে নোংরা হচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন পুরসভার ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আখতারি নিজামি। আখতারির আশ্বাস, ‘‘ওখানে একটি গণশৌচালয় এবং ভ্যাট তৈরি করা হবে। এ সবের জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে।’’