প্রতীকী ছবি
আংশিক লকডাউনেই কি রেখচিত্রের ঊর্ধ্বগতি কিছুটা আটকানো গেল? সংক্রমণের গতি আটকাতে দক্ষিণ দমদম এবং দমদম পুর এলাকায় বেলা ১২টার পর থেকে গত সপ্তাহে লকডাউন জারি করেছিল পুলিশ। পাশাপাশি ছিল, রাজ্য জুড়ে সাপ্তাহিক দু’টি পূর্ণ লকডাউন। সপ্তাহান্তে দেখা গেল, আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমিতের সংখ্যা কমেছে দুই পুর এলাকায়।
চিকিৎসকদের অবশ্য মত, সংক্রমিতের সংখ্যা হ্রাস যে লকডাউনের ফলেই, এত সহজে ধরে নেওয়াটা ঠিক নয়। তবে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাসের পিছনে লকডাউনের কিছু প্রভাব আছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার পরেও দোকানে-বাজারে প্রভাতী জমায়েতে রাশ টানা যাচ্ছিল না। সংখ্যা বিচার করতে গিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট দেখেছিল, আক্রান্ত বেশি বাড়ছে দমদম এবং নিমতা থানা এলাকায়। এরই মধ্যে নিমতা, অর্থাৎ উত্তর দমদম পুরসভা নিজেরাই সাত দিনের পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করে। দমদম থানার অন্য দুই পুর এলাকায় পুলিশ তাই বেলা ১২টার পর থেকে লকডাউনের ঘোষণা করে। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সেই লকডাউন। পুলিশ সূত্রের খবর, আপাতত সেটাই চলবে। আজ, সোমবার থেকে সাত দিন বন্ধ থাকবে দক্ষিণ দমদম পুরসভার অফিস।
দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ জানান, ১৩-১৯ জুলাই পর্যন্ত ওই পুর এলাকায় আক্রান্ত হয়ে ছিলেন ৪০ জন। আংশিক লকডাউন শুরুর পরে অর্থাৎ ২০-২৫ জুলাই, ছ’দিনে আক্রান্ত হন ১৫ জন। আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছিল ২০ জুলাই। দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর পাল জানান, গত সপ্তাহে ওই এলাকায় আক্রান্ত হন ২৫৯ জন। শেষ সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২৩২-এ।
গত সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা নিজেদের হাসপাতালে রোজ ১০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছে। শেষ সপ্তাহে দৈনিক ৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। প্রবীরের দাবি, পরীক্ষা বাড়িয়েও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এটাই আশার। দুই পুরসভা সূত্রের খবর, সপ্তাহের প্রথম দিকে সংক্রমিতের সংখ্যা ততটা কমেনি। শেষ তিন দিন তা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। যার প্রতিফলন পড়েছে জেলায় আক্রান্তের সার্বিক পরিসংখ্যানে। গত তিন দিনে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত কিছুটা কমেছে।