‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস-এর’ সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘অতিমারির পরে বাস পরিষেবা সচল এবং স্বাভাবিক করতে আমরা সরকারের কাছ থেকে আরও একটু সহযোগিতা আশা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, তা না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে পারছেন না অনেক বাসমালিক।”
প্রায় ৩০টি রুটে ২৫-৩০ শতাংশ বাস কম চলছে বলে অভিযোগ। ফাইল চিত্র।
ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ৯৬ টাকা ছাড়িয়ে যেতেই রাস্তায় কমতে শুরু করেছে বেসরকারি বাসের সংখ্যা। এমনিতেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র না-থাকায় জরিমানার ভয়ে বিভিন্ন রুট মিলিয়ে কম-বেশি এক হাজার বেসরকারি বাস কয়েক মাস ধরে পথে নামছে না। তার উপরে ডিজ়েল অগ্নিমূল্য হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় প্রায় ৩০টি রুটে ২৫-৩০ শতাংশ বাস কম চলছে বলে অভিযোগ। আগামী কয়েক দিনে ডিজ়েলের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামী কাল থেকে শুরু হতে চলা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাস্তায় কত বাস মিলবে, সেই আশঙ্কায় রয়েছেন যাত্রী থেকে পরীক্ষার্থীরা।
খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয় না-হওয়ায় ১৩, ১৭, ৩৭, ৪০, ৪৫, ৪৬, ৭৫, এসডি-৪, ৩০বি-সহ বহু রুটে বেসরকারি বাস কম চলছে বলে অভিযোগ। খরচে কুলিয়ে উঠতে কিছু বাস প্রতিদিনের বদলে রোটেশন পদ্ধতিতে চলছে বলেও খবর। জ্বালানি খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাস বন্ধ রাখার প্রবণতা বেড়েছে লম্বা রুটগুলিতে। অনেক ক্ষেত্রেই রুটের যে অংশে যাত্রীদের ওঠানামা বেশি, সেইটুকুর মধ্যে বাস চলছে বলে অভিযোগ। লম্বা রুটে জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আয়ও কমেছে বাসমালিকদের। সেই কারণেই এই প্রবণতা বলে মনে করছেন অনেকে। বেসরকারি বাসে ভাড়ার চার্ট ব্যবহার অনেক দিনই বন্ধ। এই অবস্থায় সরকারি বিধির তোয়াক্কা না করে বেশির ভাগ বেসরকারি বাস যাত্রীদের থেকে ১০-১৮ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে। কিন্তু, তার পরেও খরচে কুলিয়ে উঠতে না পারার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস-এর’ সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘অতিমারির পরে বাস পরিষেবা সচল এবং স্বাভাবিক করতে আমরা সরকারের কাছ থেকে আরও একটু সহযোগিতা আশা করেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, তা না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে পারছেন না অনেক বাসমালিক। বাধ্য হয়ে পরিষেবা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’’ ঘোষণা সত্ত্বেও বাস এবং বেসরকারি যানের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র নেওয়ার প্রশ্নে কোনও সরকারি সুরাহা মেলেনি। ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘খরচ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া, অথচ সেই হারে আয় না-হওয়াই বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ার মূল কারণ।’’