স্কুটারে চেপে টহলরত মানিকতলা থানার মহিলা পুলিশকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশি এ বার থানা এলাকায় স্কুটারে চেপে টহলদারি চালাবেন মহিলা পুলিশকর্মীরা।
লালবাজার সূত্রের খবর, এত দিন কলকাতা পুলিশের বিশেষ মহিলা বাহিনী উইনার্স টহল দিলেও এ বার থেকে থানার মহিলা পুলিশকর্মীরাও নজরদারি করার কাজ করবেন। শনিবারই নারকেলডাঙা থানার মহিলা পুলিশকর্মীরা স্কুটারে চেপে নিজেদের এলাকার স্কুল কলেজের সামনে নজরদারি চালিয়েছেন। আপাতত ঠিক হয়েছে দু’টি স্কুটারে চেপে ওই থানার মহিলা পুলিশকর্মী এবং মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারেরা সাদা পোশাকে নজরদারি চালাবেন। পরে মহিলা কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ওই নজরদার বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, বিভিন্ন থানাকেই তাদের মহিলা কর্মীদের দিয়ে ওই নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। সেই মতো নারকেলডাঙা থানার তরফে স্কুটারে চেপে ওই নজরদারি শুরু হয়েছে। স্কুটার চালানোর জন্য মহিলা কনস্টেবল এবং মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারদের লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছেন, নারকেলডাঙা থানা এলাকায় যে সব জায়গায় মেয়েদের স্কুল-কলেজ রয়েছে, আপাতত সেই সব জায়গায় দিনের বেলা ওই মহিলা পুলিশকর্মীরা স্কুটারে চেপে নজরদারি চালাচ্ছেন। যেখানে মহিলাদের বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে সব জায়গায় স্কুটারেনিয়ে ওই মহিলা বাহিনী টহল দেবে। এ ছাড়া রাতেও প্রয়োজন মতো বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাবে ওই মহিলা পুলিশকর্মীদের দল।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে উইনার্স মহিলা বাহিনী স্কুটারে চেপে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইভ টিজিংয়ের মতো অপরাধ ঠেকাতে নজরদারি চালায় বিশেষ বিশেষ সময়ে। মূলত লালবাজার থেকে ওই বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। গত মাসেই লালবাজারের তরফে ‘রেসপেক্ট উইমেন’ প্রকল্পের অধীনে জিপিএসের সুবিধা যুক্ত ২৭টি গাড়ি এবং ৪০টি মোটরবাইক দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ডিভিশনকে। কিছু গাড়ির নিয়ন্ত্রণের ভার রয়েছে লালবাজার কন্ট্রোল রুমের হাতে। মূলত কেউ বিপদে পড়ে ১০০ নম্বরে ডায়াল করলে লালবাজার বা ডিভিশন থেকে এই গাড়িগুলিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের দাবি, নারকেলডাঙার নতুন টহলদারি মহিলা বাহিনীর সঙ্গে অবশ্য কোনও যোগ নেই গত মাসে রাস্তায় নামা নতুন স্কুটারগুলির।