হকার উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ নয়

সরকারি কৌঁসুলি বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে জানান, বৈধ না হওয়ায় বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ স্থায়ী নির্মাণ ভেঙেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:২০
Share:

উচ্ছেদ: সরে যেতে বলা হয়েছিল আগেই। এ বার পুরসভার অভিযান চলল বস্তিতে। শুক্রবার, সল্টলেকে করুণাময়ীর কাছে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

বিধাননগরে হকার উচ্ছেদ দিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্ছেদের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেছেন সেখানকার হকারেরা। শুক্রবার তারই শুনানি ছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের আদালতে। হকারদের পক্ষে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে জানান, বৈধ না হওয়ায় বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ স্থায়ী নির্মাণ ভেঙেছেন। তখন বিচারপতি তালুকদার সরকারি কৌঁসুলিকে জানান, তিনি কোনও স্থগিতাদেশ জারি করছেন না। তবে, রাস্তায় হকার আইন মেনে কেউ অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করতে পারেন।

পুরসভা সূত্রের খবর, অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আগে থেকেই বিধাননগর পুর এলাকার ফুটপাথে থেকে পাকা নির্মাণ সরানো হচ্ছে। প্রথমে বেলেঘাটা-ই এম বাইপাস কানেক্টর থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন পর্যন্ত, পরের দফায় সেখান থেকে করুণাময়ী পর্যন্ত এবং শেষ দফায় করুণাময়ী থেকে বিদ্যাসাগর মোড় পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ হয়। পুনর্বাসন ছাড়াই এমন উচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তৃণমূলেরই একটি অংশে। ঘটনাটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে নিন্দা করেছিলেন বিরোধী নেতারাও। যদিও হকারদের তরফে একটি মিছিল ছাড়া আর কোনও প্রতিবাদ সে সময়ে দেখা যায়নি।

Advertisement

বিচারপতি তালুকদার জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement