অনিয়ম: সেই অনুষ্ঠানে ভিড়। শুক্রবার, কাঁকুড়গাছিতে। নিজস্ব চিত্র
সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানও ভার্চুয়াল ভাবে পরিচালনা করেছেন এ বার। কিন্তু তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডে যেন এ ক্ষেত্রে ‘ব্যতিক্রমী’।
জন্মাষ্টমীতে গোপাল পুজোর আয়োজনের পরে শুক্রবার তিনি ঘটা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতীদের উৎসাহ-উপহার দেওয়ার অনুষ্ঠান করলেন। এ দিন কাঁকুড়গাছির রামকৃষ্ণ সমাধি রোডে হওয়া ওই অনুষ্ঠান ঘিরে তাই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়াই শুধু নয়, ওই এলাকায় করোনায় মৃত্যুও হয়েছে। এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পুর কোঅর্ডিনেটর সুনন্দা গুহও। স্থানীয় বিধায়ক সাধনবাবুই।
এলাকার খবর, দু’দিন আগে থেকেই রাস্তা আটকে অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরি হয়। এ দিন বিকেলে সেখানে প্রায় ২০০ জন পড়ুয়া, তাঁদের অভিভাবক, আত্মীয়, এলাকার লোক, নেতাদের অনুগামী মিলিয়ে প্রায় সাত-আটশো লোকের জমায়েত হয়। গাদাগাদি ভিড়ের মধ্যে মাইকে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখার অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি। মাস্ক ছাড়াই দেখা যায় অনেককে।
এলাকার পুর কোঅর্ডিনেটর সুনন্দা বলেন, “এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে। জানি এ ভাবে অনুষ্ঠান করা ঠিক নয়। কিন্তু মন্ত্রী প্রতিবারই করেন। তিনি চাইছেন তাই না করতে পারিনি।” যদিও মন্ত্রী সাধনবাবু জানান, করোনায় তাঁর ভয় নেই। তিনি বলেন, ‘‘ঠাকুর আমায় বলেছেন, তোর কিচ্ছু হবে না। মানুষের কাজ কর।”
কিন্তু এত ভিড়! থামিয়ে দিয়ে সাধনের মন্তব্য, “ভাল কাজেও কেউ প্রশ্ন করলে বলি, তোর চৈতন্য হোক!”
এ বিষয়ে এলাকার তথা উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে এ রকম হচ্ছে। ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকে যে যা খুশি বলতে পারেন। কিন্তু এই মুহূর্তে এমন না করাই বাঞ্ছনীয়। উনি তো মন্ত্রী।’’