ফাইল চিত্র।
জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল চর্ম সংস্থাকে জায়গা দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই জমির একাংশ কেন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে অভিযোগ উঠল, অগ্রিম টাকা দেওয়া সত্ত্বেও কম-বেশি ৬০০ ট্যানারির মালিক বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে এখনও জমিই পাননি।
ট্যানারি সংগঠনের আইনজীবী বিমল চট্টোপাধ্যায় এ দিন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, বছরখানেক আগে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁদের জমি দিতে হবে। কিন্তু তার পরেও তাঁরা জমি পাননি।
বিমলবাবু আরও জানান, ট্যাংরা, তপসিয়া ও তিলজলার দূষণ কমাতে সেখান থেকে সব ট্যানারি বানতলায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য সেখানে অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১১০০ একর জমি। ওই জমিতে ট্যানারি ও অনুসারি শিল্পের পরিকাঠামো গড়তে রাজ্য সরকার এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয়েছিল। সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট ১৯৯৬ সালে সরকারের অনুমোদনও পায়।
আইনজীবী জানান, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ রয়েছে, এই ধরনের প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট ও অধিগৃহীত জমিতে অন্য শিল্প গড়া যাবে না। তা সত্ত্বেও তথ্যপ্রযুক্তির জন্য বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ১০০ একরের বেশি জমি বরাদ্দ করেছে রাজ্য, যা বেআইনি। আগামী ১১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।