অন্ধ্রের মাছে ফর্মালিন নেই, জানিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা

শুক্রবার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, পাতিপুকুর থেকে ৬টি মাছের নমুনা তুলে পরীক্ষা করা হয়েছিল। কোনওটিতেই ফর্মালিন মেশানোর প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি

কলকাতার বাজারে আসা অন্ধ্রের মাছে ফর্মালিন মেশানোর প্রমাণ পেল না পুরসভা। বৃহস্পতিবার ভোরে পাতিপুকুরে অন্ধ্র থেকে আসা মাছের নমুনা সংগ্রহ করেছিল পুরসভার খাদ্য-সুরক্ষা দল। পরে তা পরীক্ষা করা হয় পুরসভার ল্যাবরেটরিতে। শুক্রবার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, পাতিপুকুর থেকে ৬টি মাছের নমুনা তুলে পরীক্ষা করা হয়েছিল। কোনওটিতেই ফর্মালিন মেশানোর প্রমাণ মেলেনি। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে কলকাতা শহরে অন্ধ্রের মাছ নিরাপদ বলেই মনে করছে পুরসভা। যদিও পাশের রাজ্য বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে ওই মাছে ফর্মালিন মেশানোর অভিযোগ মিলেছে। সেই সব রাজ্য অন্ধ্রের মাছ ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে।

Advertisement

এ দিন সেই প্রসঙ্গ নিজেই তোলেন অতীনবাবু। বলেন, ‘‘বিহারে ওই মাছ ঢোকা বারণ হয়ে গিয়েছে। তাই কলকাতাতেও তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তা নিরসন করতেই কলকাতার যে বাজারে অন্ধ্রের মাছ বেশি ঢোকে, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।’’ রিপোর্টে কিছু না মেলায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। তবে একটি বাজারের মাছের নমুনা সংগ্রহ করেই বসে থাকবে না পুরসভা। প্রায়ই নমুনা তোলার কাজ চলবে। পাশাপাশি তিনি জানান, মাছে ফর্মালিন মেশানো রয়েছে কি না জানতে চলতি বছরে শহরের ২২টি বাজার থেকে ৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। একটি ক্ষেত্রেও ফর্মালিন মেশানোর প্রমাণ মেলেনি।

পুজোর মুখে শহরের রেস্তরাঁ ও খাবারের স্টল থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয় এবং বোতলবন্দি জলের মান দেখতেও বেরোবে পুরসভার খাদ্য-সুরক্ষা দল। সে খবর দিয়ে মেয়র পারিষদ জানান, ভেজাল খাবার বিক্রি রুখতে ৯ অক্টোবর থেকে লাগাতার অভিযান চালাবেন তাঁরা। বাইপাসের দু’পাশে থাকা রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বড় বড় পুজো মণ্ডপ সংলগ্ন রাস্তার স্টল ও ফুটপাথের দোকানেও ঘুরবে পুরসভার দল। কোথাও ভেজাল খাবারের প্রমাণ মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালীপুজো পর্যন্ত ওই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement