পুজোর ভিড় সামলাতে যানবাহনের ‘নো এন্ট্রি’

৩৪ ও ৩৫— দুই জাতীয় সড়কেই থাকবে নো এন্ট্রি। যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে টাকি রোড এবং ব্যারাকপুর রোডেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৬
Share:

বারাসত কেএমসি রেজিমেন্টের মণ্ডপ। বুধবার। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

আলোয় ভাসছে গোটা এলাকা। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে থেকে চার দিনের জন্য গোটা বারাসত ‘নো এন্ট্রি’ সমস্ত যানবাহনের জন্য। তা ছাড়া উপায় কী? গোটা বারাসত শহর ভরে থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমাগমে। সে জন্য দুর্গাপুজোর বহু আগে থেকেই প্রস্তুতিও ছিল। গোটা বারাসত-মধ্যমগ্রামের মণ্ডপে মণ্ডপে কোথাও তাইওয়ান, কোথাও কোনারক। তাই প্রতি দিন ১২ ঘণ্টা করে নো এন্ট্রি থাকবে বলে বুধবার জানান উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তের দেড় হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন।

Advertisement

৩৪ ও ৩৫— দুই জাতীয় সড়কেই থাকবে নো এন্ট্রি। যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে টাকি রোড এবং ব্যারাকপুর রোডেও। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সব রাস্তা থেকে বারাসত ঢোকার সব মুখ আটকে দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গগামী সব গাড়ি বিরাটি এবং মধ্যমগ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে সেই গাড়িগুলি ফের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠতে পারবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বারাসতের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করা হবে।

রাজ্যের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী, বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের হাতে বড় এবং মাঝারি ক্লাবগুলির পুজোর উদ্বোধন বুধবারই হয়ে গিয়েছে। অসময়ে বৃষ্টির জন্য কিছু কিছু ক্লাবে এ দিন চলেছে শেষ মুহূর্তের তুলির টান। তার মধ্যেই নেমেছে দর্শনার্থীর ঢল। বারাসত স্টেশনের দু’পাশের পুজো কমিটিগুলি একে অপরকে টেক্কা দেওয়ায় লড়াইয়ে নেমে পড়েছে।

Advertisement

বারাসত স্টেশনের লাইনের এক পারে গোটা রাস্তা আলোয় সাজিয়েছে কেএনসি রেজিমেন্ট। তাদের মণ্ডপ কোনারক মন্দিরের আদলে। সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্ব বাংলা স্বপ্ন পূরণ থিম সাম্য সঙ্ঘের। সমানে টেক্কা দিচ্ছে টাকি রোডের ধারে শতদল সঙ্ঘ, বিদ্রোহী, আগুয়ান সঙ্ঘের মতো পুজোগুলিও। স্টেশনের অন্য পারে পুকুরের মধ্যে বিশাল ময়ূরপঙ্খী বজরা দিয়ে প্যাগোডায় ঢুকতে হচ্ছে পায়োনিয়ারের মণ্ডপে। নবপল্লি সর্বজনীনে বাহুবলীর রাজপ্রাসাদ। বিশাল ও অপরূপ প্রতিমা নবপল্লি ব্যায়াম সমিতি এবং রেজিমেন্টে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোলেই সন্ধানী, তরুছায়া, শক্তিমন্দিরের মতো ক্লাবগুলি নজরকাড়া থিমে সেজে উঠেছে। এলাকার মানুষই জানাচ্ছেন, এ বার পুজোর বিশেষত্ব হল বড় পুজোর পাশাপাশি মাঝারি ও ছোট ক্লাবগুলিও ইতিমধ্যে বেশ কিছু পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে।

তবে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহিলা পুলিশের কয়েকটি বিশেষ দল সাদা পোশাকে ঘুরবে বিভিন্ন জায়গায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement