প্রতীকী ছবি।
পরিবেশবান্ধব সবুজ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ। এ বার এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কথা মাথায় রেখে নিউ টাউনকে ‘হ্যাপি সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিল এনকেডিএ। এর জন্য খড়্গপুর আইআইটির সাহায্য নিচ্ছে তারা।
এনকেডিএ-র সূত্রের খবর, নিউ টাউনের জন্য খড়্গপুর আইআইটি-র দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, সময়ের মধ্যে সম্পত্তিকর জমা করা করলে বাসিন্দাদের পুরস্কৃত করা হোক। তাতে বাসিন্দারা যেমন উৎসাহ পাবেন তেমনই প্রশাসনের আয়ও বাড়বে। এর পাশাপাশি এলাকায় কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি ব্লকপিছু একটি করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নিউ টাউনে হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এলাকায় আধুনিক মানের বাস ছাউনি তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে, যেখানে ডিজিটাল কিয়স্কের মাধ্যমে বাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন বাসিন্দারা।
একই সঙ্গে নিউ টাউনের ব্লক এলাকাগুলির রাস্তায় ছোট মাপের পরিবেশবান্ধব গাড়ি চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইআইটি-র পরামর্শ অনুসারে নিউ টাউনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জনবহুল এলাকায় বহুস্তরীয় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া সাইকেলের জন্য আলাদা লেন এবং জিমের কথাও বলা হয়েছে।
নিউ টাউনকে আবর্জনামুক্ত করতেও বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই প্রস্তাবে। বাসিন্দাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করে আবর্জনা পৃথকীকরণের কাজ করার কথা বলা হয়েছে, যাতে বাসিন্দারা উৎসাহ পান। এই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই কার্যকর করা শুরু হয়েছে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর। এলাকায় আরও বেশি করে নারকেল গাছ লাগানোর প্রস্তাবও এসেছে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর।
সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খড়্গপুর আইআইটি-র ওই সব প্রস্তাব কতটা কার্যকর করা সম্ভব তা দেখা হবে। বাসিন্দাদের সুরক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে বেশ কিছু পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।