প্রতীকী ছবি।
পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরাট নিয়ে কতগুলি অভিযোগ এখনও পর্যন্ত দায়ের হয়েছে এবং সেগুলি বর্তমানে কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
সোমবার পূর্ব কলকাতা জলাভূমি সংক্রান্ত মামলায় পরিবেশ আদালত এমনই নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে যেহেতু ওই মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন, তাই সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যও হাইকোর্টকে অনুরোধ করেছে আদালত। প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরাট নিয়ে ৩৫৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন ওই জলাভূমি’ যে ভাবে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়েও এ দিন
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ আদালত। মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘২০০৬ সালে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ‘পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’। কিন্তু ১৪ বছরেও জলাভূমির এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হয়নি। চিহ্নিতকরণ ও তার ঘেরার কাজ যতক্ষণ না শেষ হবে, ততক্ষণ জলাভূমি ভরাট আটকানো যাবে না।’’
এ দিনের মামলায় বিধাননগরের মোল্লার ভেড়ির প্রসঙ্গটিও ওঠে। কারণ, মোল্লার ভেড়ির আবর্জনা উপচে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির একাংশ বুজিয়ে দিচ্ছে। বিধাননগর পুরসভা এ দিন মোল্লার ভেড়ি সংক্রান্ত যে হলফনামা জমা দিয়েছে তাতে তারা জানিয়েছে, আগামী মাসে ভেড়ি ঘিরে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে জঞ্জাল উপচে আর জলাভূমিতে পড়বে না। একই সঙ্গে ওখানে বায়ো-মাইনিং ব্যবস্থা অর্থাৎ মোট বর্জ্য থেকে ধাতব পদার্থ ও কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে বলে হলফনামায় জানানো হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার আইনজীবী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেটি পুর দফতরের মাধ্যমে অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে। আর্থিক বরাদ্দের অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’’