কফি হাউসে ধূমপান বিরোধী প্রচারে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী। গত সোমবারের এই ঘটনায় কফি হাউস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে ওই সংস্থার তরফে। যদিও কফি হাউস পরিচালন সমিতির সম্পাদক তপন পাহিরা জানাচ্ছেন, এ ব্যাপারে তাঁরা নিরুপায়। তাঁর কথায়, ‘‘কী করব? ধূমপান বন্ধ করতে বললে গ্রাহকদের অনেকেই নেতা-মন্ত্রীর নাম করে প্রভাব দেখান। বলেন কফি হাউস বন্ধ করিয়ে দেবেন। ব্যবসা দেখব, না এ সব!’’
কফি হাউসে ধূমপান করা উচিত কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেখানে এক গ্রাহকের সঙ্গে এক কর্মীর হাতাহাতির পরে বিতর্ক আরও ছড়ায়। এই প্রেক্ষিতে কফি হাউসে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ধূমপান বন্ধের জন্য প্রচার শুরু করেছে। চিঠি গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরেও। ‘এখানে ধূমপান নিষিদ্ধ’ লেখা বোর্ডের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও সেখানে ব্যানার টাঙিয়েছে। গত সোমবার এ রকমই একটি সংগঠন প্রচারে গেলে ঘটে বিপত্তি।
সমর্পিতা সান্যাল নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্মীকে গালিগালাজ করা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সমর্পিতা বলেন, ‘‘একটি টেবিলে বয়স্করা বসেছিলেন। ধূমপান বন্ধের অনুরোধ জানাতেই রেগে যান ওঁরা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, আমাকে দেখে নেবেন। কফি হাউসের গেট বন্ধ করে আটকে রাখার হুমকি দেন।’’ কফি হাউসের কর্মীরা ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের উদ্ধার করেন। ওই সংস্থার তরফে পরে বিষয়টি কফি হাউস পরিচালন সমিতিতে জানানো হয়। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশও যায়। সমর্পিতার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পুলিশ ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে।
যদিও আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার তরফে জানানো হয়েছে, কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের জানিয়ে প্রচারে গেলে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়া হবে। প্রচার চলাকালীন সাদা পোশাকে পুলিশকর্মীরা থাকবেন কফি হাউসে। যদিও প্রায়ই কফি হাউসে যাওয়া এক বর্ষীয়ান গ্রাহকের কথায়, ‘‘সরকার কড়াকড়ি না করলে কোনও নজরদারিতেই কাজ হবে না।’’