প্রতীকী ছবি।
রাস্তার বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলছে না। কোথাও ঝোপজঙ্গল হয়ে রয়েছে, কিন্তু সাফ করা হচ্ছে না। কারও আবার জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের প্রয়োজন।
এমনই বিভিন্ন কারণে নিউ টাউনের বাসিন্দারা ৬০ দিনে মোট ৬৭৪ বার ফোন করলেন হেল্পলাইনে। দু’মাস আগে ফোনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর সমস্যা শোনা ও সমাধানের জন্য একটি হেল্পলাইন (১৮০০ ১০৩ ৭৬৫২) চালু করে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। তাঁদের অভিযোগ পেয়ে সমস্যার সমাধানও করা হচ্ছে এনকেডিএ-র তরফে। সূত্রের খবর, হেল্পলাইনের কাজটি আউটসোর্স করা হয়েছে। দু’মাসে মোট ৬৭৪টি ফোন এসেছে হেল্পলাইনে। গড়ে রোজ ১১ জন ফোন করেছেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৮টি ফোন এসেছে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, হেল্পলাইনে কেমন অভিযোগ আসছে, অভিযোগ শুনে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সমাধান করা হলে অভিযোগকারীকে জানানো হচ্ছে।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, ফোনে অভিযোগ করলে একটি ডকেট নম্বর দেওয়া হয়। মূলত পুর পরিষেবা নিয়েই বেশি অভিযোগ এসেছে। বাতিস্তম্ভে আলো না জ্বলার সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হয়েছে। কিন্ত ঝোপ-জঙ্গল হয়ে থাকার অভিযোগের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, বর্ষার পরে সে সব সাফ করা হবে। কারণ এখন ঝোপ কাটলে তা ফের গজিয়ে উঠবে।
তবে শুধু অভিযোগ জানানোই নয়, অনেকে ফোন করছেন তথ্য জানতে। যেমন, ইকো পার্কের পথনির্দেশ, মিষ্টি হাব নিয়ে তথ্য বা ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি জানতে চেয়েও ফোন এসেছে। এক ব্যক্তির বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। তাই বাড়ির পাশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মশার তেল স্প্রে করার অনুরোধ এসেছিল। দ্রুত সেই ব্যবস্থা করা হয়। সূত্রের খবর, হেল্পলাইনে ফোন করলে তা কেউ ধরছেন কি না, তা বুঝতেও ফোন এসেছে।