—ফাইল চিত্র
চালু হওয়ার পর থেকেই নিউ টাউনে তৈরি কফি হাউসকে ঘিরে আগ্রহ বেড়েছে শহরবাসীর মধ্যে। ইতিমধ্যেই সেখানে ভিড় করছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তাঁদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শুরুতে ভিড় সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থাও হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতিতে এই ধরনের ভিড়ে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই কফি হাউসের মোট আসনের একাংশ অনলাইনে বুকিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, অনলাইনে বুকিং করলে তার সময়সীমা রাখা হয়েছে ৯০ মিনিট। হি়ডকো সূত্রের খবর, কফি হাউস চালু হওয়ার পরে দেখা গিয়েছে এক-একটি দল কমবেশি দেড় ঘণ্টা থাকছে। সেই হিসেবে অনলাইনে বুকিং করলে ৯০ মিনিট পর্যন্ত সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। বাকি আসনগুলি আগে আসার ভিত্তিতে দেওয়া হবে। তবে তাতেও কিছু মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে টোকেন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাগুইআটির বাসিন্দা দীপক ঘোষ জানান, নিউ টাউনে নতুন তৈরি এই কফি হাউসে বেশ ভিড় হচ্ছে। সম্প্রতি সপরিবার তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। তবে অন্দরসজ্জা দেখে এবং খাবার খেয়ে দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট লাঘব হয়েছে বলে জানান দীপকবাবু।
নিউ টাউনে কর্মরত এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সুমিতা সিংহ জানান, পড়ুয়া থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্য একটি সুন্দর জায়গা তৈরি হয়েছে। কলকাতায় কফি হাউসে সব সময়ে যাওয়ার সময় হয় না। তাই হাতের কাছে নিউ টাউনে কফি হাউস চালু হওয়ায় সেই সাধ মিটবে।
হিডকোর এক শীর্ষ কর্তা জানান, কফি হাউস চালু হওয়ার পরে খুব ভাল সাড়া মিলছে। অনেক লোক ভিড় করছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরার মতো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। যে কারণে ভিড় নিয়ন্ত্রণে অনলাইনে বুকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কফি হাউসে আসা গাড়ি রাখার জন্য আলাদা পার্কিং লট করা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কফি হাউসে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে, যেখানে শিল্পীরা তাঁদের অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে দু’জন শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।