ছবি - পিটিআই
আগামী সোমবার থেকে মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা এবং পরিষেবার সময়সীমা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছিল। সেই মতো এ বার মেট্রোর ই-পাস বুকিং ব্যবস্থায় অতিরিক্ত স্লট যোগ করা হচ্ছে। ওই দিন রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ই-পাস বুকিংয়ের একটি অতিরিক্ত স্লট যোগ করা হচ্ছে বলে খবর।
লকডাউনের জেরে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার পরে বর্তমানে দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ৮টায় অন্তিম মেট্রো ছাড়ছে। কিন্তু সেই সময়সীমা বাড়িয়ে দমদম এবং কবি সুভাষ স্টেশন থেকে রাত ৯টায় অন্তিম মেট্রো ছাড়বে বলে খবর। ফলে এ দিন থেকে মেট্রোয় ১৪৬টির পরিবর্তে ১৫২টি ট্রেন চলবে। পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে এবং সময় আরও কিছুটা পিছিয়ে রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত করা হবে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
চলতি সপ্তাহে শুক্রবার মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজারেরও বেশি, যা এই করোনা পরিস্থিতিতে দৈনিক যাত্রী সংখ্যার নিরিখে সর্বোচ্চ। তবে পুজোর চার দিন কোন সূচি মেনে ট্রেন চলবে, তা এখনও স্থির হয়নি। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত রাত ১১টায় দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে অন্তিম মেট্রো ছাড়ার পক্ষে রয়েছেন মেট্রোর আধিকারিকদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে রাত ১২টা পর্যন্ত পরিষেবা খোলা রাখতে হবে। আর সকালে পরিষেবা দেরিতে শুরু হবে। তবে আধিকারিকদের আর একটি অংশ আবার পুজোর দিনে পরিষেবার সময় প্রাক্ করোনা পরিস্থিতির মতো রাত ১০টার মধ্যেই সীমিত রাখতে চান। কারণ, বেশি রাত পর্যন্ত মেট্রো চললে পুজোর ভিড় বাড়বে বলেই আশঙ্কা তাঁদের। তবে পুজোর দিনে পরিষেবা নিয়ে আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। পুজোর চার দিন স্মার্ট কার্ডের পাশাপাশি কাগজের টিকিট চালু রাখা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। নিয়মিত যাত্রীদের পাশাপাশি প্রচুর নতুন যাত্রীও ওই সময় মেট্রোয় চাপেন। তাই আপাতত দৈনিক মেট্রোযাত্রীর সংখ্যা এক লক্ষের আশপাশে রাখতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ।