চুরি বন্ধে চার দফা নিয়ম যাদবপুরে

রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর সই করা চার দফা বিধিনিষেধ সংবলিত ওই বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০১:১৪
Share:

ক্যাম্পাসে কেটে ফেলা হয়েছে আস্ত মেহগনি গাছ। কারা সেই কাজ করেছে, সেই ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগে ঘটছে চুরির ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে কিছু বিধিনিষেধ জারি করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর সই করা চার দফা বিধিনিষেধ সংবলিত ওই বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১) ক্যাম্পাসে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাঁর জিনিস তল্লাশি করা হবে। ২) ক্যাম্পাসের মধ্যে গাছ কাটতে গেলে রেজিস্ট্রারের অনুমতি নিতে হবে। ৩) কোনও গাছ কাটা হলে এস্টেট বিভাগকে পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করে রাখতে হবে। ৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রী বাইরে গেলে প্রতিটি গেটের খাতায় তা লিখে রাখতে হবে। এই বিধিনিষেধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের জন্যও প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে নির্দেশে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাছে একটি বড় মেহগনি গাছ কেউ বা কারা এপ্রিলে কেটে ফেলে। কিছু কাঠও সরিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) প্রতিনিধিরা উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ক্যাম্পাসে লাগাতার চুরি-সহ একাধিক বিষয়ে স্মারকলিপি দেন। তখন তাঁরা গাছ কেটে লোপাট হয়ে যাওয়ার ঘটনাটিরও উল্লেখ করেন। পরে এসএফআইয়ের তরফেও ক্যাম্পাসে চুরি এবং গাছ কাটার ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানানো হয়।

Advertisement

এর পরেই কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন, ক্যাম্পাসের সব গাছের অডিট হবে। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘জুটার চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি নয়, ওই নির্দেশ যাতে মানা হয়, তা নিয়েও কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement