বৃষ্টি বেশি হলেই জলমগ্ন হয়ে যায় বেহালার বেশ কিছু এলাকা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজেও স্বীকার করেছেন সেই সত্যিটা। বলেওছেন, “কলকাতার অন্য এলাকার মতো নিকাশি ব্যবস্থা ভাল নয় বলেই এমন হাল।” সেই বেহালায় এ বার নিকাশির হাল ফেরাতে পাম্পিং স্টেশন তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা। এ জন্য জোকা ট্রাম ডিপোয় ৪৫ কাঠা জমি লিজ নিচ্ছে পুর প্রশাসন।
মঙ্গলবার মেয়র জানান, কলকাতা ট্রাম কোম্পানির সঙ্গে পুরসভার চুক্তি হয়েছে। কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (কেইআইআইপি) ওই কাজ করবে। পুজোর পরেই শুরু হবে কাজ। এর ফলে পুরসভার ১২৩, ১২৪, ১২৫, ১২৬ এবং ১২৭-সহ আরও কয়েকটি ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা ভাল হবে।
কেইআইআইপি সূত্রে খবর, এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের টাকায় ওই কাজ হচ্ছে। সংস্থার এক আধিকারিক জানান, বেহালায় নিকাশির জন্য কোনও পাম্পিং স্টেশন ছিল না। জায়গার অভাবেই এ ত দিন তা করা যায়নি। এ বার জোকা ট্রাম ডিপোর পড়ে থাকা জমিতে ওই স্টেশনটি হচ্ছে। জমি ব্যবহারের জন্য ট্রাম কোম্পানিকে সেলামি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ৪ কোটি ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। জমির ভাড়া বাবদ বছরে দেওয়া হবে ৪৫ লক্ষ টাকা ৮৫ হাজার টাকা। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, প্রথম কিস্তিতে জমি ব্যবহারের জন্য দেড় কোটি টাকা ট্রাম কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে।
কেইআইআইপি সূত্রে খবর, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ ওয়ার্ডেই নিকাশির জল টানার জন্য অনেক পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। কিন্তু সংযোজিত এলাকাভুক্ত ওয়ার্ডগুলিতে সেই ব্যবস্থা ছিল না। নতুন ওই স্টেশনের পাম্পের মাধ্যমে ওই এলাকার নিকাশির জল টেনে নিয়ে ফেলা হবে চড়িয়াল খালে। ওই পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে ২ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। দু’বছরের মধ্যে ওই কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে পুর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।