লোকসভা ভোটের আগেই যাদবপুর ও টালিগঞ্জে বাড়ানো হবে পানীয় জলের সরবরাহ। গার্ডেনরিচ থেকে অতিরিক্ত জল সরবরাহের জন্য আলাদা পাইপ বসানো হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ধারণা, আগামী বছরের গোড়ায় সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। ৩.৯ কিমি পাইপ বসাতে খরচ হবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। তার পরেই যাদবপুর ও টালিগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া যাবে পরিস্রুত পানীয় জল।
সম্প্রতি ওই দুই অঞ্চলের অন্তত ১৯টি ওয়ার্ড-এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শুনতে হয়েছে কাউন্সিলরদের। তাঁরা এতটাই হতাশ যে, কেউ কেউ দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন এই সমস্যা মেটাতে না পারলে ভোটে ওয়ার্ড তৃণমূলের হাতছাড়া হতে পারে। দলের পক্ষে এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কানেও সে কথা তুলেছেন তাঁরা। বিষয়টি আনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গোচরেও।
পানীয় জলের অভাব মেটাতে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে?
জল সরবরাহ দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, বর্তমানে গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্প থেকে ৭২ ইঞ্চির পাইপে পরিস্রুত পানীয় জল যায় বেহালায় জেমস লং সরণিতে। সেখান থেকে তা সরবরাহ হয় বেহালার বিভিন্ন বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে। নতুন ব্যবস্থায় জেমস লং থেকে ৪০ ইঞ্চি ব্যাসের আর একটি পাইপ বসানো হবে। সেটি নিউ আলিপুর রোড হয়ে পৌঁছবে আনোয়ার শাহ মোড়ের কাছে, দেশপ্রাণ শাসমল রোডের গ্রিডে। ওই পাইপটি যাদবপুর ও টালিগঞ্জের বিভিন্ন বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে ওই দুই এলাকার ওয়ার্ডগুলিতে বাড়তি জল পৌঁছে দেবে। কলকাতার নবনির্বাচিত মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সোমবার বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থা ছাড়াও ওই দুই অঞ্চলের জন্য যদি আরও কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়, তা করার জন্যও দ্রুত ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ধাপার জয় হিন্দ জলপ্রকল্প হওয়ার পরে ভাবা হয়েছিল, সেখান থেকে বাইপাসের ধারে যাদবপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের চাহিদা মেটানো যাবে। দৈনিক ৪ কোটি গ্যালন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ওই জলপ্রকল্প থেকে এখন দৈনিক মাত্র ২ কোটি ৩০ লক্ষ গ্যালন জল উৎপাদন হয়। স্বভাবতই, বাইপাস লাগোয়া ১০১, ১০৪, ১০৮, ১০৯ ও ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের সমস্যা মেটেনি। পুরসভার খবর, যাদবপুরের জল সমস্যা মেটাতে ৮৬টি এবং টালিগঞ্জের জন্য ১১৭টি গভীর নলকূপ চালু রেখেছে পুর প্রশাসন। সমস্যা না মেটা পর্যন্ত এই কাজ
জারি থাকবে।