Ganges

৩৯ টাকায় দেড় ঘণ্টা ভ্রমণের সুযোগ গঙ্গাবক্ষে

সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে বিকেল ৪টে এবং সন্ধ্যা ৬টায় দু’টি লঞ্চ ছাড়বে। তবে শনি, রবি এবং সরকারি ছুটির দিনে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ওই লঞ্চ যাত্রা শুরু করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেড় ঘণ্টা গঙ্গাবক্ষে ভেসে থাকা যাবে ৩৯ টাকায়! পর্যটনের এই নয়া পরিকল্পনা রাজ্য পরিবহণ নিগমের। নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস তুলে ধরতে এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন নিগমের আধিকারিকেরা। অক্টোবর থেকে ওই ব্যবস্থা চালু হওয়ার কথা।

Advertisement

নদীর স্রোতের মতো সময়ও বয়ে যায়। ঘড়ির কাঁটার সেই দৌড়ে গঙ্গার দু’ধারে পা ডুবিয়ে থাকা চেনা ঘাটগুলির অনেক ইতিহাস এই প্রজন্মের কাছে অচেনা। ওই সব ঘাটকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে থাকা ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দিতে দেড় ঘণ্টা বিশেষ ভেসেলে চেপে গঙ্গা ভ্রমণের সুযোগ মিলবে। মিলেনিয়াম পার্ক জেটি থেকে যাত্রা শুরু হয়ে বাগবাজার সংলগ্ন মায়েরঘাট ছুঁয়ে, নিমতলা ঘাট, আর্মেনিয়ান ঘাট, ফেয়ারলি ঘাট, চাঁদপাল ঘাট ঘুরে ফের মিলেনিয়াম পার্ক জেটিতে শেষ হবে এই জলপথে ভ্রমণ। নদীর দু’ধারে ছড়িয়ে থাকা ঘাটের গল্প শোনাবেন সফরসঙ্গী টুর গাইড।

পর্যটকদের কাছে এই ভ্রমণকে আকর্ষণীয় করতে ভেসেলেই থাকবে খাবার এবং পানীয় বিক্রির ব্যবস্থা। সাউন্ড সিস্টেমে মৃদু লয়ে বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত। জলপথের ছবি ও নিজস্বী তোলার জন্য ভেসেলেই আলাদা করে ঘেরা জায়গা বা বুথের ব্যবস্থা থাকছে। শৌচাগারও থাকবে।

Advertisement

সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে বিকেল ৪টে এবং সন্ধ্যা ৬টায় দু’টি লঞ্চ ছাড়বে। তবে শনি, রবি এবং সরকারি ছুটির দিনে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ওই লঞ্চ যাত্রা শুরু করবে। বাগবাজার সংলগ্ন মায়েরঘাট, সারদাদেবীর স্মৃতি বিজড়িত। ঐতিহাসিক নিমতলা ঘাটে শ্মশান ছাড়াও কাছাকাছি রয়েছে একাধিক মন্দির। আর্মেনিয়ান, ফেয়ারলি এবং চাঁদপাল ঘাটকে ঘিরে রয়েছে ঔপনিবেশিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনার ইতিবৃত্ত। পূর্ব রেলের ভবন, চক্ররেলের বি বা দী বাগ স্টেশন রয়েছে ফেয়ারলিতে। এই সব ঘাটকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে থাকা টুকরো ঘটনা যাত্রীদের জানাবেন সরকারি টুর গাইড।

রাজ্য পরিবহণ নিগমের এক আধিকারিক বলেন “জলপথে শহরের ঐতিহ্যকে জনপ্রিয় করতেই এই সফরের পরিকল্পনা।” রাজ্য পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, করোনা আবহে লকডাউন শিথিল হলেও সংক্রমণের আতঙ্কে অনেকেই সে ভাবে বাইরে বেরোতে পারছেন না। শপিং মল বা বিভিন্ন বিনোদন পার্কও এড়িয়ে চলছেন বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণে অনেকেই আগ্রহী হবেন, এমনই মনে করছেন নিগমের আধিকারিকেরা। এ ক্ষেত্রে সন্ধ্যা নামলে জলপথে একাধিক ঘাটে গঙ্গা-আরতি দেখার সুযোগও রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে সিঙ্গাপুর, লন্ডনের ধাঁচে জলপথে ভ্রমণকে জনপ্রিয় করার বিষয়ে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement