পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ শুনলেন মেয়র

এ দিন সকাল থেকে পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের দশদ্রোণ এলাকার স্মৃতি ভবনে বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে বসেছিলেন মেয়র। স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশের অভিযোগ, এলাকায় পর্যাপ্ত নিকাশি ব্যবস্থাই নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২০
Share:

কৃষ্ণা চক্রবর্তী।

বিমানবন্দরের কাছের একটি পুর এলাকা। অথচ আজও পরিকাঠামোর নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতেই জমা জল এবং পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে ওই এলাকায়। বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হোক। এ ভাবেই শনিবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা বাসিন্দাদের অভিযোগ এবং দাবিদাওয়া শুনলেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পুরসভার চেয়ারপার্সন অনিতা মণ্ডল, স্থানীয় কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, শাহনওয়াজ আলি মণ্ডল প্রমুখ।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকে পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের দশদ্রোণ এলাকার স্মৃতি ভবনে বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনতে বসেছিলেন মেয়র। স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশের অভিযোগ, এলাকায় পর্যাপ্ত নিকাশি ব্যবস্থাই নেই। জোড়ামন্দির থেকে রাজারহাট চৌমাথার দিকে যে রাস্তা গিয়েছে, তার দু’পাশের নিকাশির মান খুবই খারাপ। জল জমার সমস্যা রাজারহাট-গোপালপুরের বিভিন্ন জায়গায় যে রয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন মেয়রও। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডের জন্য পুরসভা নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিস্তারিত প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করছে। দ্রুত তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। রাজ্য সরকারের অনুমতি এলে শুরু হবে কাজ।
ফলে আগামী দিনে জল জমার সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন এলাকাবাসী এমনই জানান মেয়র।

শুধু অপর্যাপ্ত নিকাশির সমস্যাই নয়, পানীয় জলের পাইপ নিয়মিত পরিষ্কার যে হয় না, তা মেনে নিচ্ছেন স্থানীয় কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এলাকায় জনসংখ্যার চাপ যথেষ্ট। তার নিরিখে পানীয় জলের সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন। পাইপগুলির সংস্কার করাও উচিত। পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স, ফুটপাত দখল করে বাজার, খোলা নিকাশিনালা, অ্যাম্বুল্যান্সের অভাব-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান বাসিন্দারা।

Advertisement

মেয়র পুরসভার পরিকল্পনার কথা বাসিন্দাদের জানান। পাশাপাশি এ-ও জানান, কোনও ধরনের বেআইনি কাজকে পুর কর্তৃপক্ষ প্রশ্রয় দেবেন না। পুর আইন মেনেই বিল্ডিং প্ল্যান থেকে শুরু করে যাবতীয় পুর পরিষেবা দেওয়া হবে। মেয়র এ দিন বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন, ট্রেড লাইসেন্সের জটিলতা কাটানোর চেষ্টা করছে পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement