—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা পুলিশের অধীন থানাগুলির সর্বত্র সিসি ক্যামেরার নজরে আনার জন্য নতুন করে নির্দেশ দিল লালবাজার। আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডের জেরে এই নির্দেশ দেওয়া হল। কারণ, থানার প্রতিটি এলাকাকে নজরদারির অধীনে আনার বিষয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও সেই কাজ অসমাপ্ত ছিল। প্রথম দফার কাজের পরে থমকে ছিল প্রক্রিয়া। কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলের নির্দেশে ডিভিশনের উপ-নগরপালদের তরফে শনিবার সব থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, থানার যেখানে পুলিশকর্মী এবং সাধারণ মানুষ চলাফেরা করেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। সে জন্য থানাকে সব রকম সহায়তা দেবে লালবাজার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের সব থানার সর্বত্র ক্যামেরা নেই। যেখানে চোরাই মোবাইল জমা দিতে এসে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, সেই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় পুলিশ অফিসারদের ঘরেও সিসি ক্যামেরা ছিল না। এর ফলে বিপাকে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। কারণ, মৃত্যুর আগে অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে ওই ঘরেই ঢুকেছিলেন অশোককুমার সিংহ। আগামী দিনে এই ধরনের অস্বস্তিকর ঘটনা ঠেকাতে পুরো থানাকে সিসি ক্যামেরার অধীনে আনতে চাইছে লালবাজার। তবে কত দিনের মধ্যে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে, তা নিয়ে লালবাজার কিছু বলেনি। থানার সব ক্যামেরা সচল রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত বছর কলকাতা পুলিশের ২৪টি থানায় প্রায় ৯০০টি ক্যামেরা প্রথম দফায় বসানো হয়। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও টাকার অভাবে কলকাতা পুলিশের বাকি থানায় এবং থানার সর্বত্র ক্যামেরা বসানো যায়নি।
এক পুলিশকর্তা জানাচ্ছেন, থানাগুলিতে এ বার ক্যামেরা বসানোর খরচ লালবাজারই দেবে। তবে এই নির্দেশ আসার আগেই কিছু থানা নিজেদের খরচে সর্বত্র ক্যামেরা বসিয়েছে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেই পুলিশকর্মীরা ওই ক্যামেরা বসিয়েছেন।