ফাইল চিত্র।
লকডাউন দশা কাটলেও স্কুল–কলেজ বন্ধ। বন্ধুদের সঙ্গে দেখাও হয় না। গত আট মাসে করোনার জেরে বাড়িতে বন্দি-জীবন কাটাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে শিশুরা। কিন্তু তারা মনের রসদ কোথায় পাবে? খুদে মনের খোরাক জোগাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি রেডিয়ো স্টেশনের নতুন উদ্যোগ ‘শিশু তরঙ্গ’। সহায়তায় ইউনিসেফ।
স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইনে ক্লাস করার পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিয়ো স্টেশনের দৌলতে পার্শ্ববর্তী এলাকার শিশুরা রেডিয়োয় শুনে ফেলতে পারছে রামমোহনের ইতিহাস থেকে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ছেলেবেলার গল্প। কোনও দিন আবার আলোচনায় উঠে আসছে বিজ্ঞানী রসালিন্দ ফ্রাঙ্কলিনের জীবনীও। গল্প বলার দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বসু, বাংলার প্রথম মহিলা ফুটবলার শান্তি মল্লিক, রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী সুপর্ণানন্দ, কবি সমরেন্দ্র দাস প্রমুখ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক এবং ‘রেডিয়ো জেইউ’-র কনভেনর ইমনকল্যাণ লাহিড়ী জানান, শুধু অডিয়োই নয়। ভিডিয়োতেও দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান। যাদবপুর সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি না থাকলেও চিন্তা নেই। ফেসবুক, ইউটিউবেও ‘শিশু তরঙ্গ’ দেখতে- শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, “করোনা আবহে বদ্ধ ঘরে শিশুমনের খোরাক জোগাতে রেডিয়ো জেইউ–তে শিশু তরঙ্গ অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হয়। আর্থিক সহায়তা করছে ইউনিসেফ।’’
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ৯০.৮ গিগাহার্জ কমিউনিটি রেডিয়ো জেইউ থেকে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। সেই তালিকায় রয়েছে ‘শিশু তরঙ্গ’।