এনএসএইচএম বিজ়নেস স্কুল আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথিরা। —নিজস্ব চিত্র।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর অন্তত ১৫ লক্ষ পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে চাকরি পেয়ে থাকেন সামান্যই। সাম্প্রতিক বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি, সংখ্যাটা মেরেকেটে সাত শতাংশ!
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি? অনেকের বক্তব্য, এর মূল কারণ ‘ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া গ্যাপ’। যার অর্থ, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে এক জন পড়ুয়া যা শেখেন, তার সঙ্গে কর্মস্থলের চাহিদার বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে। অর্থাৎ, কাজের জায়গায় গিয়ে অর্জিত শিক্ষার কোনও কিছুই কাজে আসছে না! এই দূরত্ব ঘোচাতেই দু’দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করল এনএসএইচএম বিজ়নেস স্কুল।
গত ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শিরোনাম— এনক্লেভ: ২০২৩। এনএসএইচএম বিজ়নেস স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবসায়িক এবং শিক্ষা মহলের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ওই সম্মেলনে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিলের সভাপতি তথা বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর চন্দ্রশেখর ঘোষ, ক্যালকাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা টাটা স্টিলের এগজ়িকিউটিভ ইনচার্জ টিভি শ্রীনিবাস শেনয়, আইআইএম কলকাতার মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক রমেন্দ্র সিংহ, আইআইএম বেঙ্গালুরুর অধ্যাপক গোপাল দাস, আইআইএম শিলংয়ের অধ্যাপক পারিজাত উপাধ্যায় এবং শিল্পোদ্যোগীদের মধ্যে ছিলেন বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস দত্ত, কলকাতা ভেনচার্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আভেলো রায়। চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘পুঁথিগত শিক্ষা এবং বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের কাছে তা তুলে ধরাই এই কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য ছিল।’’
এই সম্মেলন প্রসঙ্গে এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাসের চিফ মেন্টর সিসিল অ্যান্টনি বলেন, ‘‘শিল্প ক্ষেত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মিলিয়ে দেয় এই ধরনের কনফারেন্স। এই ধরনের কনফারেন্সে পুঁথিগত বিদ্যাকে কী ভাবে বাস্তবে কাজে লাগানো হতে পারে, সেটাই শেখানো হয়।’’ কলকাতার এনএসএইচএম বিজ়নেস স্কুলের অধ্যক্ষ সুবীর সেন বলেন, ‘‘এই কনফারেন্সে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপচারিতা হয়েছে পড়ুয়াদের। অ্যাকাডেমিক এবং কর্পোরেট দুনিয়ার মধ্যে পার্থক্যও বোঝানো হয়েছে তাদের।’’