ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রত্নাকে তলব করা হতে পারে।
নারদ মামলায় ফের জেরার মুখে রত্না চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েকে প্রায় সাত ঘণ্টা জেরা করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। তদন্তকারীদের দাবি, বেশ কিছু নতুন তথ্য তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন বৈশাখী। তা খতিয়ে দেখার পরেই রত্নাকে জেরার করার সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রত্নাকে তলব করা হতে পারে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে রত্নাদেবীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত ইডি-র তরফে নোটিস পাইনি। তদন্তের প্রয়োজনে আমার যেতে কোনও অসুবিধা নেই।” তাঁর কথায়: “আমি আগেই ইডি-কে সব নথিপত্র দিয়ে এসেছি। বৈশাখী কী বলেছেন আমার জানা নেই। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিষয়েও কিছু জানি না।”
শুক্রবার সন্ধেয় ইডি জেরার পর বৈশাখী বলেছিলেন, ‘‘শোভনবাবু ও রত্নাদেবীর ব্যবসা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি যতটা জানি, তদন্তকারীদের জানিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: ইডির জেরা বৈশাখীকে, তাঁর ব্যাগ কোলে বাইরে ঠায় বসে শোভন
সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ও মেয়র পদ ছেড়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। নারদ মামলায় তাঁকে আগেই জেরা করা হয়েছিল। তখন তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন, তাঁর আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তির বিষয় স্ত্রী দেখেন। ফলে রত্নাদেবীকেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে হয়েছিল।
ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে ২০১৪ সালে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল শোভনবাবুকে। তখন তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশিত হয়। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই তদন্তে নামে ইডি।
আরও পড়ুন: গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন বাবা-মা, নীচে খেলছে ছেলেমেয়ে!
এখন শোভনবাবুর সঙ্গে রত্নাদেবীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। এই সময়ে শোভনকে বার বারই বলতে শোনা গিয়েছে, বৈশাখী তাঁর বিপদের সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন। সব ফাইলপত্র বৈশাখী তৈরি করে দেয় বলেও দাবি করেন তিনি। এর পরেই বৈশাখীকে তলব করে ইডি।
শোভনের আয়-ব্যয় হিসাবের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। ইডি সূত্রে খবর, এ বিষয়ে তিনি রত্নাদেবীর কথা আধিকারিকদের বলেছেন। ফলে তিনি যা তথ্য দিয়েছেন, তা সঠিক কি না, খতিয়ে দেখার জন্য রত্নাকে জেরা করতে চায় ইডি।