দুর্যোগে অনাথ, পরিত্যক্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী নন্দনা সেন
কেউ বাবাকে। কেউ হয়তো মা-কে। অনেকে আবার দু’জনকেই হারিয়েছে। অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কেড়ে নিয়েছে বাংলার বহু শিশুর ভবিষ্যৎ। তাদের আগামী সুনিশ্চিত করতেই এ বার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এগিয়ে এলেন লেখিকা, অভিনেত্রী তথা শিশু-অধিকারকর্মী নন্দনা সেন।
ঝুঁকিপূর্ণ জীবন বন্ধনীতে থাকা কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ১১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক কন্যা-সন্তান দিবস থেকে একটি কর্মসূচি শুরু করছেন নন্দনা ও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যার নাম— ‘ফর এ সেফ টুমরো’। অর্থাৎ, ‘নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য’। ওই সংস্থার শিশু-সুরক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচির ‘মুখ’ নন্দনা। এই নতুন উদ্যোগের নেতৃত্বও তিনিই দিচ্ছেন।
নন্দনা বলছেন, ‘‘করোনা অতিমারি এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে রাজ্যের বহু শিশুই বাবা, মা-কে হারিয়েছে। এর ফলে শিশু পাচার, শিশু শ্রম, বাল্য বিবাহের মতো ঘটনা আরও বাড়ছে। এই সময় তাদের আরও বেশি করে আমাদের প্রয়োজন। বাংলায় এই সমস্যা অনেক বেশি বলেই আপাতত এখানে এই কর্মসূচির উপর বেশি জোর দেওয়া হবে।’’
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘বাংলায় প্রতি পাঁচ জন কন্যা-সন্তানের অন্তত দু’জনের বিয়ে কিশোর বয়সেই হয়। এ ছাড়াও অতিমারি কালে রাজ্যে শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে অন্তত পাঁচ লাখে দাঁড়িয়েছে। শিশু শ্রমের নিরিখে দেশে বাংলা দ্বিতীয় স্থানে।’
গত বছর দেশে করোনা অতিমারি আছড়ে পড়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার শিশুকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে ওই সংস্থা। সংস্থার ‘রিসোর্স মবিলাইজেশন’ বিভাগের প্রধান ইয়াসমিন রিয়াজ বলছেন, ‘‘ঝুঁকিতে থাকা এই শিশুদের জীবনে ভবিষ্যতে যাতে আবার সুদিন ফিরে আসে, নন্দনা ও আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’’