নাখোদা মসজিদ।—ফাইল চিত্র।
ধর্মের ভিত্তিতে দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে। সেটা হচ্ছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে ঢাল করে। তাতে বিপন্ন বোধ করছেন দেশের মুসলিমরা। নাখোদা মসজিদের ট্রাস্টি বোর্ডের এক সদস্য এই মর্মেই চিঠি লিখলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে।
নাসের ইব্রাহিম নামে ট্রাস্টি বোর্ডের ওই সদস্য চিঠিতে লিখেছেন, এই আইন দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। কারণ, আইনের মূল বিষয়ই হল শুধুমাত্র দেশের মুসলিমদেরই নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বাধ্য করা। যেখানে মুসলিমরা এ দেশে কয়েকশো বছর ধরে থাকছেন। তিনি আরও লিখেছেন, এনআরসি এবং সিএএ আসলে দেশের সর্বধর্ম সমন্বয়ের বিপক্ষে বলছে। ফলে দেশের সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাসের বলছেন, ‘‘দেশের মূল সংস্কৃতির বিপক্ষে গিয়ে সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী এই আইন সমাজে অস্থিরতা তৈরি করবে এবং এ দেশের চিরকালের চরিত্রটাই পাল্টে দেবে।’’
এ প্রসঙ্গে নাসের অসমের কথা বলছেন। চিঠিতে লিখেছেন, সেখানে কী ভাবে লক্ষাধিক মানুষ নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। নাসের আরও লিখেছেন, ‘ধর্ম কখনওই নাগরিকত্ব প্রমাণের মূল বিষয় হতে পারে না।’ তাই এই আইন যাতে কার্যকর না হয় তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা সেই চিঠির প্রতিলিপি।
নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চিঠিটি বোর্ডের সকল ট্রাস্টি মিলে লেখেননি। ট্রাস্টির এক সদস্য নাসের ব্যক্তিগত ভাবে লিখেছেন। ট্রাস্টি বোর্ডের আরও এক সদস্য মহম্মদ কাসিম বলছেন, ‘‘এটা নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষ বলছেন না। নাসের ইব্রাহিম এক জন ট্রাস্টি হিসেবে লিখেছেন।’’