Mystery

নিউ আলিপুরে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু, পরিবারের আচরণে ‘অসঙ্গতি’

মৃতার পরিবার জানিয়েছে যে ওই নাবালিকা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ কিছু দেখে ভয় পয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ১৩:৪৯
Share:

বিদ্যাসাগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই নাবালিকা। —নিজস্ব চিত্র।

এক ১০ বছরের নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। ওই নাবালিকা নিউ আলিপুরের ই ব্লকের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ নাবালিকার পরিবারের লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে যান বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নাবালিকাকে প্রাথমিক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হল ওই নাবালিকার, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃতার পরিবারের লোকজন হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন যে ওই নাবালিকা জানালার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ জানালা দিয়ে কিছু দেখে সে ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়িতেই অচেতন হয়ে যায়। তারপরই তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে পরিবার।

আরও পড়ুন: স্থিতিশীল অমিতাভ, রয়েছে মৃদু উপসর্গ, জানাল নানাবতী হাসপাতাল

Advertisement

আরও পড়ুন: তিন ব্যাধির জাল কেটে বৃদ্ধ হেঁটেই বাড়িতে​

কিন্তু পরিবারের বয়ানে অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে সন্দেহ করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেই সময় যে চিকিৎসক জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন, তিনি গোটা ঘটনায় কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন। তাই তিনি পরিবারের বারংবার অনুরোধ সত্বেও দেহ হস্তান্তর করেননি। তিনি দেহের ময়না তদন্তের জন্য সুপারিশ করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাইরে থেকে দেহে সে রকম কোনও মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কিন্তু দেহে কিছু অস্বাভাকিতা দেখেই ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেন ওই চিকিৎসক। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই পুলিশ নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের করা শুরু করেছে।

নাবালিকার ময়না তদন্তে কী পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তদন্তকারীরা। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিবারের বয়ানের সঙ্গে ময়না তদন্তে পাওয়া রিপোর্টের ফারাক রয়েছে। তাই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার জন্য পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ গোটা ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে যা গোপন করার চেষ্টা করছেন পরিবারের সদস্যরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement