প্রতীকী ছবি
তিন দিনের এক শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আনন্দপুর থানার আদর্শনগর এলাকার নোনাডাঙার বাসিন্দা এক দম্পতি তিন দিনের মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় সদ্য আসা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট জানাল, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। এর পরেই শুক্রবার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল।
পুলিশ সূত্রের খবর, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই দম্পতি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান। শিশুটির মা চিকিৎসকদের জানান, ঘণ্টা তিন-চার আগে মেয়েকে দুধ খাইয়ে বিছানায় শুইয়ে কাজ করছিলেন। শুয়ে ছিল বছর দেড়েকের ছেলেও। পরে গিয়ে দেখেন, মেয়ের সাড় নেই। হাসপাতালে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়। ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসক ওই শিশুর শ্বাসরোধের চিহ্ন পান। রিপোর্টে জানান, শ্বাসরোধ করাতেই মৃত্যু হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে শিশুটির মা ছাড়া বছর দেড়েকের দাদা ছিল ঘরে। ফলে ওইটুকু শিশুকে গলা টিপে কে খুন করল, তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পাশে শুয়ে থাকা দেড় বছরের দাদা কোনও ভাবে বোনের গলা জড়িয়ে ধরিয়েছিল। তাতেও দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে মেয়েটির। যদিও সবটাই অনুমানের পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী অফিসার।
ফেব্রুয়ারির ঘটনার ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেতে জুলাই কেন হল? পুলিশের বক্তব্য, লকডাউনের কারণেই রিপোর্ট পেতে দেরি হয়েছে।