জলসঙ্কটে ত্রাতা সেই গভীর নলকূপ

গরম এখনও সে ভাবে পড়েনি। তার আগেই জলসঙ্কট দেখা দেওয়ায় কোনও রকমে অবস্থা সামাল দিতে নজিরবিহীন ভাবে যাদবপুর ও টালিগঞ্জে বন্ধ করে দেওয়া কিছু গভীর নলকূপ ফের চালু করেছে পুরসভা।

Advertisement

সুরবেক বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০১:১৫
Share:

গরম এখনও সে ভাবে পড়েনি। তার আগেই জলসঙ্কট দেখা দেওয়ায় কোনও রকমে অবস্থা সামাল দিতে নজিরবিহীন ভাবে যাদবপুর ও টালিগঞ্জে বন্ধ করে দেওয়া কিছু গভীর নলকূপ ফের চালু করেছে পুরসভা।

Advertisement

যাদবপুরে ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে আনন্দপল্লি-নবনগরে তিনটি ও টালিগঞ্জে ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডে নানুবাবুর বাজারের কাছে এম এন সেন লেনে একটি— মোট চারটি গভীর নলকূপ ফের চালুর কথা পুরসভা সূত্রে স্বীকার করা হয়েছে। তবে অন্য এক সূত্রের খবর, ওই তল্লাটে আরও কয়েকটি গভীর নলকূপ নতুন ভাবে চালু
করা হয়েছে।

অথচ এই গভীর নলকূপগুলি বছরখানেক আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ প্রথমত, গভীর নলকূপের জল টালা বা গার্ডেনরিচের মতো পুরো পরিস্রুত নয়। দ্বিতীয়ত, এর স্বাদ কিছুটা নোনতা। এবং সব চেয়ে বড় কথা, ওই সব এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের পরিমাণ সহনমাত্রার চেয়ে বেশি।

Advertisement

পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘গার্ডেনরিচের মিষ্টি জল দেওয়ার ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হওয়ার পরেই ওই সব গভীর নলকূপ বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে ফের খুলে দিতে হল!’’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গার্ডেনরিচের জল সকাল, দুপুর ও বিকেলে পাওয়ার কথা। তিন বার জল আসছে, তবে পরিমাণ কম। জলের চাপও নেই। কয়েকটি ফ্ল্যাটে সাধারণ জলের লাইনের সমান্তরাল অন্য লাইন নেওয়া হয়েছে নিয়ম মতো পুরসভাকে টাকা দিয়ে। কিন্তু ওই সব বাড়ির রিজার্ভয়ারও ভরছে না। এই নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। তাই এই গভীর নলকূপগুলি ফের খুলে দেওয়া হয়। পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘গভীর নলকূপের জলের সঙ্গে গার্ডেনরিচের মিষ্টি জল
মিশিয়ে সরবরাহ করে কিছুটা সঙ্কট কাটানো গিয়েছে।’’

কিন্তু এত দিন পরেও ওই সব এলাকায় গার্ডেনরিচের মিষ্টি জলের সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কেন?

পুরসভার এক সূত্রের খবর, কিছু জায়গায় পাইপে ফুটো হয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোডে এমন কিছু ছিদ্র চিহ্নিত করেছে পুরসভা। সেখানে রাস্তা বসেও গিয়েছে। পুরসভার বক্তব্য, অ্যাসবেস্টস সিমেন্ট পাইপে ছিদ্র হতে পারে। তা ছাড়া পাইপ জোড়ার জন্য সীসার অংশেও সমস্যা হতে পারে। পাইপ মেরামতির কাজে হাত দেবে তারা। ন্যূনতম সাত দিন লাগবে। তার পরেও গভীর নলকূপগুলি বন্ধ করা হবে না। কারণ, জল জোগানের ব্যাপারে পুরসভা ভরসা পাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement