প্রতীকী ছবি।
সল্টলেকে মোট গভীর নলকূপ রয়েছে ১২৫টি। তার মধ্যে ৪৫টি গভীর নলকূপ বন্ধ করা হবে আগামী এপ্রিলে। তার পরে আরও ৮০টি বন্ধ হবে। কারণ, চলতি বছরের এপ্রিলেই শুরু হবে নিউ টাউন জল প্রকল্প থেকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ১২৫টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে তোলা জল সল্টলেক এবং সংযুক্ত এলাকায় যায়। সল্টলেকে জলের ১৫টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক রয়েছে। তার প্রতিটির সঙ্গে তিনটি করে গভীর নলকূপ যুক্ত রয়েছে। নিউ টাউনের জল সরবরাহ শুরু হলেই সল্টলেকের ওই ৪৫টি নলকূপ থেকে জল তোলা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে বাকিগুলোও বন্ধ হবে বলে জানান বিধাননগর পুরসভার জল দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার স্বপন মৈত্র।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, সল্টলেকে বর্তমানে ২ লক্ষ ২২ হাজার মানুষ বাস করেন। বাইরে থেকে প্রতিদিন আরও ৪০ হাজার মানুষ কাজের জন্য সল্টলেকে আসেন। সব মিলে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ পুরসভার জলের সুবিধা ভোগ করেন। নিউ টাউনে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তৈরি জল প্রকল্প থেকে দৈনিক দু’কোটি গ্যালন জল পাওয়া যাবে। চার বছরের মধ্যে তা বেড়ে হবে একশো কোটি গ্যালন। তাতে রাজারহাট, গোপালপুর, নিউ টাউন, সল্টলেকের জলের সমস্যা অনেকটাই মিটবে।
এক পুরকর্তা জানান, এই মুহূর্তে টালা থেকে সল্টলেকে দৈনিক পঁচাত্তর লক্ষ গ্যালন জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেই জলে চাহিদা মেটে না। পরিস্থিতি এমন হয় যে, বাসিন্দারা পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক নিয়মিত ভাড়া করে নিয়ে যান। গরমে সমস্যা আরও বাড়ে। নতুন প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ শুরু হলে সেই ছবি বদলাবে বলে আশ্বাস পুর কর্তৃপক্ষের। পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, সল্টলেকে পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। কেষ্টপুরের সংযুক্ত এলাকার ২২-২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১১৬ কোটি টাকা খরচ করে কেষ্টপুর এবং বৈশাখীতে তিনটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭, ২৮, ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে মাটির নীচে পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। এই কাজগুলো শেষ হলেই সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দারা নিউ টাউনের পরিস্রুত জল পাবেন।