মহড়া: প্রতিষেধকের তোড়জোড় চলছে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
সমস্ত পুরকর্মীকে ধাপে ধাপে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কথা বৃহস্পতিবারই জানিয়েছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। ৫০-৬০ বছর বয়সি পুরকর্মীদের এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সামগ্রিক ভাবে কোন পদ্ধতিতে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ হবে, এ বার তারও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল কলকাতা পুরসভায়। এই কাজের জন্য স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক (সরাসরি চুক্তিতে নিয়োগ এবং সংস্থা দ্বারা নিয়োগ) কর্মীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশ সমস্ত দফতরের কন্ট্রোলিং অফিসারদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতিষেধক দেওয়ার কাজটি যে ধাপে ধাপে করতে হবে তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশেই পরিষ্কার। সেই নির্দেশ মেনেই একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাতে পুরকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হলে কারা অগ্রাধিকার পাবেন, তা চিহ্নিত করা যায়। এক পুরকর্তা জানাচ্ছেন, এমনিতে স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের তথ্য পুরসভার কাছে রয়েছে। কিন্তু প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ যে হেতু পৃথক, তাই তার জন্য আলাদা তালিকা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘‘সহজেই ওই তালিকা দেখে কার আগে প্রতিষেধক প্রয়োজন, কার পরে, সেটা বোঝা যাবে। যখন পুরকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে, তখন এই তালিকা দেখেই কাজ করা হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, পুর তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের তরফে স্থায়ী কর্মী ও একশো দিনের প্রকল্পের কর্মী সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটাইজ় করা হচ্ছে। কন্ট্রোলিং অফিসারেরা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পাশাপাশি পুরসভার ভাড়া করা গাড়ির (হায়ারড ভেহিক্ল) চালকদের তথ্যও ধাপে ধাপে ওই তালিকায় নথিভুক্ত করাচ্ছেন। পুরো বিষয়টি যাতে সুশৃঙ্খল ভাবে হয়, সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘গত বছরের হিসেব যদি ধরা হয়, তা হলে পুরসভার স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ২০ হাজার ৪৬৩ জন। আর চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে প্রতিষেধক দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে কর্মী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতের কাছে মজুত থাকলে পুরো প্রক্রিয়া সুসংহত ভাবে হওয়া সম্ভব।’’