নিকাশি উন্নয়নে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শহরে প্রাক বর্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার পুরভবনে বৈঠক ডাকে পুর প্রশাসন। ছিলেন রেল, পূর্ত, দমকল, সিইএসসি, ক্যালকাটা টেলিফোন্স, এইচআরবিসি, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ, কলকাতা পুলিশ-সহ একাধিক সংস্থার কর্তারা। অনেকটা মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের ধাঁচেই প্রশ্নোত্তর পর্ব করেন মেয়র এবং মন্ত্রী। শহরের নানা নিকাশি-সমস্যার কথা তোলেন এক পুর ইঞ্জিনিয়ার। জবাব দিতে থাকেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তারা।
রাজীববাবু জানান, আক্রা-সন্তোষপুর স্টেশনের কাছে লাইনের নীচ দিয়ে একটি বক্স কালভার্ট করতে তিন বছর আগেই রেলকে টাকা দেয় সেচ দফতর। ওই কাজ হলে টালিগঞ্জ, বেহালা, পর্ণশ্রীর নিকাশি ব্যবস্থা ভাল হবে। কিন্তু এখনও রেল ওই কাজ করেনি। ফলে সেখানে এখনও বর্ষায় জল জমে। বৈঠকে উপস্থিত রেলের এক ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কবে কাজ শুরু হবে। তিনি জানান, অক্টোবরের পরে। মেয়র বলেন, তার আগেই করতে হবে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে কড়া ভাষায় মেয়র বলেন, ‘‘রেল যদি ওই কাজ না করে, তবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।’’
বৈঠকের শুরুতেই সেচমন্ত্রী জানিয়ে দেন, শহরে নিকাশি ব্যবস্থাপনায় যে সব পাম্পিং স্টেশন আছে, সে সব প্রস্তুত রাখাই প্রধান কাজ। এ জন্য পুরসভার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে সেচ দফতর। এর পরেই সন্তোষপুর-আক্রার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী জানান, তিন বছর আগে সাড়ে ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। রেললাইনের নীচ দিয়ে তাই ওই কালভার্ট রেলকেই করতে হবে। বৈঠকে রেলেরই আর এক সংস্থা আরভিএ এল-এর কাজে ঢিলেমির অভিযোগ তুলে ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন, গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ করতে গিয়ে বাঘা যতীনে নিকাশি নালা নষ্ট করে মেট্রো। তা ঠিক না হওয়ায় জলে ভাসে এলাকা। যা শুনে রেল জানায়, ব্যবস্থা নেবে তারা।