mamata banerjee

মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ দুই দলত্যাগীর, তড়িঘড়ি ফোন মুকুলের, বৈঠক হেস্টিংসে

সূত্রের খবর, সুনীল কৈলাসকে জানিয়েছেন, অধিবেশনের শেষদিনে আবেগতাড়িত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে যান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:৪৮
Share:

সুনীল সিংহ (বাঁ দিকে) ও বিশ্বজিৎ দাস। —নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দুই বিধায়ক বিধানসভায় সাক্ষাত্ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন মুকুল রায়ের। তড়িঘড়ি হেস্টিংসে বসল বিজেপির বৈঠক।

সোমবার ছিল ১৬তম বিধানসভার শেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনের দিন প্রথমে বিধানসভার লবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হন দলত্যাগী বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস। মুখ্যমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। দেখেই তাঁর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কী রে কী ডিসিশন নিলি?’’ সেই সময় স্মিত হেসে মুখ্যমন্ত্রীর কথার কোনও জবাব দেননি বিশ্বজিত্। সোমবার তাঁর সঙ্গেই ছিলেন আরও এক দলত্যাগী নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ। এরপর এই দুই বিধায়ককেই দেখা যায় বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে। এক সময় তাঁদের নিজের ঘরেই ডেকে পাঠান মমতা। দীর্ঘক্ষণ কথাও হয় তাঁদের।

এই সময় বিধানসভা তো বটেই সংবাদমাধ্যমে জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি ‘ঘর ওয়াপসি’ হতে চলেছে বিশ্বজিত্-সুনীলের? উত্তর ২৪ পরগনার দুই প্রান্ত থেকে নির্বাচিত এই দুই বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় সেখানে ছিলেন জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। পরে দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বের হলে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন তাঁরা। উভয়ই জানান, ‘‘বিধায়ক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে এলাকা উন্নয়ন নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা প্রসঙ্গেই জানাতে গিয়েছিলেন।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে মমতার দলের ভরাডুবির পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন বিশ্বজিত্-সুনীল। নোয়াপাড়ার বিধায়ক আবার সম্পর্কে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের জামাতা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বার হতেই সুনীলকে ফোন করেন বিজেপির সহসভাপতি মুকুল রায়। বিকেলে দু’জনকেই ডাকা হয় হেস্টিংসের পার্টি অফিসে। দু’জনের সঙ্গেই কথা হয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। জানা যায়, কৈলাস দু’জনের থেকেই তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কারণ জানতে চান। সূত্রের খবর, সুনীল কৈলাসকে জানিয়েছেন, অধিবেশনের শেষদিনে আবেগতাড়িত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে যান তিনি। বিশ্বজিত্ কেন্দ্রীয় বিজেপির পর্যবেক্ষককে জানিয়েছেন, বনগাঁর রাজনীতিতে মতুয়া বাড়ির সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যের কথা। উভয়ের সমস্যাই শুনে তা নিরসনের বিষয় আশ্বাস দিয়েছেন কৈলাস। সঙ্গে শীঘ্রই বিভিন্ন দল থেকে বিজেপি-তে আসা বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

ভোটের আগে বিধায়কদের আচরণে যাতে দলীয় কর্মীদের মনোবলে কোনওরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া না পড়ে সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে চায় গেরুয়া শিবির। যদিও, হেস্টিংসের দফতরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা বিধায়কদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক হালদার-সহ বিধায়করা এসে বৈঠক করে যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement