প্রতীকী ছবি।
বধূকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার চাঁদপুর এলাকায়। মৃতার নাম পায়েল শিকারি (৩০)। শ্বশুরবাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে পায়েলের সঙ্গে প্রদীপ নামে এক যুূবকের বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রদীপের আগের পক্ষের স্ত্রী ও এক ছেলে বর্তমান।
পায়েলের মা পূর্ণিমা ধাড়া বলেন, ‘‘বিয়ের পরে আমরা প্রদীপের প্রথম বিয়ের বিষয়টি জানতে পারি। আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হত। প্রদীপের আগের স্ত্রী ও ছেলেও আমার মেয়েকে মারধর করত। আমার মেয়ে মারধরের ভয়ে মাঝে মধ্যেই আমার কাছে চলে আসত। মাস খানেক আগে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালেই ভাঁইফোটার জন্য আমার বাড়িতে আসার কথা ছিল। দুপুরে আমার এক প্রতিবেশীকে প্রদীপ ফোন করে জানায়, পায়েল জলে ডুবে মারা গিয়েছে। তার পরেই আমরা বিকেলে চাঁদপুরে যাই।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরে ওই বধূর দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন। তার পরেই পায়েলের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদীপ ও তাঁর মা সরলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বধূ-হত্যার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ছেলে ও মাকে বারুইপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক প্রদীপকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত ও সরলাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, প্রদীপ জেরায় জানিয়েছেন পায়েলের মৃগী ছিল। রাস্তার ধারের পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে পায়েল মাথা ঘুরে পড়ে যান বলে দাবি প্রদীপের।