প্রহৃত দীপালি দে
বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠল ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। শেষে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বৃদ্ধার মেয়ে-জামাই এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার সুভাষগ্রামের পেটুয়া গ্রামে। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে পুত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বৃদ্ধার ছেলে পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা দীপালি দে। বছর কুড়ি আগে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে দীপালিদেবী ছেলে ঝন্টু দে এবং পুত্রবধূ টগরীকে নিয়ে থাকেন। ঝন্টু সোনারপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। পুলিশের কাছে অভিযোগে দীপালিদেবী জানিয়েছেন, জমি ও বাড়ি তাঁর নামে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ওই সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল ছেলে ও বৌমা। এমনকী, মাঝেমধ্যে তাঁকে খেতেও দেওয়া হত না। কিন্তু ওই বৃদ্ধা কোনও ভাবেই ছেলেকে সম্পত্তি লিখে দেননি। তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই বচসা হত। এর আগেও সম্পত্তি নিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন বৃদ্ধা।
পুলিশ জেনেছে, বৃহস্পতিবার দীপালিদেবী ও ঝন্টুর মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। এর পরেই বিকেলে ওই বৃদ্ধাকে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে একটি ঘরে আটকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেয় ঝন্টু ও টগরী। ঘটনাটি দীপালিদেবীর এক প্রতিবেশীর নজরে আসে। তাঁর মাধ্যমেই খবর যায় বৃদ্ধার মেয়ের কাছে।
খবর পেয়ে রাতেই চলে আসেন মেয়ে-জামাই। পড়শিদের সাহায্যে মাকে উদ্ধার করে তাঁরা সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিযোগ দায়ের হয় বারুইপুর থানায়। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে টগরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।