বেহাল: সেই পুকুর। নিজস্ব চিত্র
শেওলা পড়ে জলের রং সবুজ। ভাসছে প্লাস্টিক, আবর্জনা। বন্দর এলাকার নাদিয়ালের খালধারি রোডের বেশির ভাগ পুকুর এমনই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কলকাতা পুরসভার ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নাদিয়ালের মণ্ডলপাড়া মসজিদ সংলগ্ন এমনই একটি পুকুর ধারে গিয়ে দেখা গেল, চারপাশ জমে আবর্জনা। অথচ সেখানেই স্নান ও বাসন ধোয়া চলছে।
পরিবেশ রক্ষায় সমস্ত পুকুর সংস্কার করে সেগুলি মাছ চাষের যোগ্য করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও যে সে ভাবে কাজ হচ্ছে না, তা নাদিয়ালের পুকুরগুলি দেখলেই বোঝা যায়। ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আবু মহম্মদ তারিক অবশ্য এ জন্য স্থানীয়দের দিকেই আঙুল তুলছেন। তিনি বলেন, ‘‘পুকুর সাফাই করা হলেও মানুষের সচেতনতার অভাব এ জন্য দায়ী। তা নয়তো সকালে সাফাই করার পরেও কী ভাবে স্থানীয়েরা নোংরা প্লাস্টিক পুকুরে ফেলেন?’’ বাসিন্দাদের দাবি, পুরসভা পরিষ্কার করে না। এক বাসিন্দার আবার অভিযোগ, ‘‘এলাকা কলকাতা পুরসভার অধীন হলেও পরিস্রুত জল, নিয়মিত আবর্জনা সাফাইয়ের মতো সাধারণ পরিষেবা মেলে না।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় নির্দিষ্ট ভ্যাট নেই। তাই যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকে। শহর যখন ভ্যাটমুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছে পুর প্রশাসন, তখন সমাধানে অন্য পথে না হেঁটে স্থানীয় কাউন্সিলরের দাওয়াই, ‘‘খালধারি রোডে যাতে ভ্যাট করা যায়, সেটা পুরসভাকে বলব।’’