প্রায় ৪০০টি বড় গাছ পড়ে গিয়েছে কলকাতা শহরে। ছবি: সংগৃহীত।
রেমাল ঘুর্ণিঝড়ের দাপটে শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত মিলিয়ে উপড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে তিন শতাধিক গাছ। যা কলকাতার মতো ঘিঞ্জি শহরের কাছে বড়সড় ক্ষতই বটে। তাই এই ক্ষতে প্রলেপ দিতে কমপক্ষে পাঁচ গুণ বেশি গাছ লাগাতে চায় কলকাতা পুরসভা। সোমবার ভোরে ঝড়ের দাপট কমতেই কলকাতা শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে হাত দিয়েছে পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, প্রায় ৪০০টি বড় গাছ পড়ে গিয়েছে কলকাতা শহরে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ সূত্রে খবর, বট-সহ ৩০০-র মতো বড় গাছ শিকড় সমেত উপড়ে গিয়েছে। আরও ১০০টি গাছ ডালপালা-সহ বড় অংশ ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ভেঙে পড়া বড় গাছের সংখ্যা ২৯৪। পরে আরও বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ার খবর মেলায় তা বেড়ে ৩০০ হয়েছে। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, শিমুল, পাম, কদম, সুপুরির মতো গাছ উপড়ে পড়েছে। এই সংখ্যায় গাছ ভেঙে পড়ায় দ্রুত পদক্ষেপ করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। বিপর্যয়ের কাজ শেষ হওয়ার পরেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করতে চায় তারা। যে সব এলাকায় গাছ ভেঙে পড়েছে, সেই সব এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গাছ ভেঙে পড়ছে পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, নিউ আলিপুর, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। পাশাপাশি, বেলেঘাটা, আলিপুর রোড, গল্ফগ্রিন রোডে, জিসি অ্যাভিনিউ, স্ট্র্যান্ড রোড, কিরণশঙ্কর রায় রোড, পাটুলির ফুলবাগান, খিদিরপুরের মনসাতলা লেন, গড়িয়াহাট, পিজি হাসপাতালের ভিতরে, বিড়লা তারামণ্ডলের সামনের রাস্তায় বড় গাছ ভেঙে পড়েছিল।
তাই এই সব এলাকায় প্রায় পাঁচ গুণ গাছ লাগিয়ে ক্ষতিপূরণ করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘৩০০-র মতো বড় গাছ পড়ে যাওয়ার পরেই আমরা দেড় হাজার গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘দেড় হাজার গাছ লাগানোর পরে বর্ষার মরসুমে কলকাতা পুরসভা যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রতি বছর পালন করে, সেই কর্মসূচিতেও কলকাতা শহরে অতিরিক্ত গাছ লাগানো হবে।’’