সরকারের দেওয়া দুর্গার ভান্ডার প্রত্যাখ্যান আরও এক পুজো কমিটির। ফাইল ছবি।
কলকাতার আরও এক পুজো কমিটি ফেরাচ্ছে রাজ্য সরকারের দেওয়া দুর্গার ভান্ডারের অনুদান। এই পুজো কমিটি মহিলা পরিচালিত। যাদবপুর সন্তোষপুরের মহিলা মজলিশ রাজ্য সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই, তার মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় পুজোয় সরকারি অনুদান না নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে।
অনুদান প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে যাদবপুর এলাকার পুজো কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণা গুহ বলেন, “আরজি কর হাসপাতালে যুবতী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই আমাদের কারও মন ভাল নেই। সঙ্গে রাজ্যের যা অবস্থা তাতে বড় করে পুজো করার মতো মানসিক অবস্থাও আমাদের নেই। মণ্ডপসজ্জা, আলো-সহ প্রতিমার বায়না হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। তা তো আর ফেরানো যাবে না। তাই এ বছর আড়ম্বরহীন ভাবেই আমরা মা দুর্গার পুজো করব।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের পুজোয় এ বার সে ভাবে জাঁকজমক হচ্ছে না। যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এমনটা করা হচ্ছে। তাই সকলে আমরা সরকারি অর্থ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
শনিবারই দক্ষিণ কলকাতা এলাকার আরও একটি পুজো কমিটি দুর্গার ভান্ডার না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেহালার অক্ষয় পাল রোডের মধ্যপাড়া আবাহনী ক্লাবের দুর্গাপুজোর এ বার সুবর্ণ জয়ন্তী। কিন্তু সুবর্ণ জয়ন্তীর পুজোয় থাকছে না কোনও জাঁকজমক। অভয়া বিচার পেলে আগামী বছর ফের উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। রবিবারই পানিহাটি সোদপুর এলাকার বোধিকানন ক্লাব পুজো কমিটিও দুর্গার ভান্ডারের ৮৫ হাজার টাকা অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
প্রসঙ্গত, এ বার পুজোয় অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নেতাজিনগর বাস্তুহারা সমিতি। পুজোয় সরকারি অনুদান তারা যে নেবে না, ইতিমধ্যেই বেহালা থানাকে মেল করে তা জানিয়ে দিয়েছে বেহালার সবেদা বাগান ক্লাব। কলকাতার গার্ডেনরিচের মুদিয়ালি আমরা ক’জন পুজো কমিটিও পুজোর অনুদান নেবে না বলে জানিয়েছে। এ ছাড়াও, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার কয়েকটি পুজো কমিটিও সরকারি অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।