প্রাথমিক পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে। যা দেখে নতুন আরও এক সংস্থা এগিয়ে এল নিউ টাউনে বাইক ট্যাক্সি চালাতে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নববর্ষেই ওই সংস্থা নিউ টাউনের রাস্তায় নামাতে চলেছে ২০টি বাইক ট্যাক্সি— যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ান ম্যান ট্যাক্সি’।
সংস্থার কর্ণধার রাঘব রাণ্ডার জানাচ্ছেন, বাইক চালানো তাঁর ‘প্যাশন’। সে কারণেই তিনি এই পরিষেবায় উৎসাহী হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরের অনুমোদন পেয়েছি। ২০টি বাইক এবং তার চালক ঠিক হয়ে গিয়েছে। চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। তাঁরা নিয়মিত রাস্তায় বেরিয়ে নিউ টাউনের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, অলিগলি চিনছেন। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে পরিষেবা চালু করব বলে ঠিক করেছি।’’
পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, গত বছরের জুলাই মাসে বাইক ট্যাক্সিকে আইনি বৈধতা দিলেও গত মাসে একটি সংস্থা নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ওয়ান এবং টু-তে ১৭টি বাইক দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে এই পরিষেবা শুরু করেছে। ঠিক হয়েছে, সফল হলে এই প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে কলকাতা, বিধাননগর এবং হাওড়ায়।
প্রথম এক মাসে এই পরিষেবায় ভালই সাড়া মিলেছে বলে দাবি পরিবহণকর্তাদের। এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রথমে সংস্থার তরফে কিছু ‘ফ্রি রাইড’ দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছু ভাড়ার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু তা বাদ দিয়েও দৈনিক গড়ে ৭০-৮০টি করে ভাড়া পাচ্ছে সংস্থাটি। যা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই আরও একটি সংস্থা এই ব্যবসায় আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে।’’ ওই কর্তার বক্তব্য, ‘‘নিউ টাউনের অনেক এলাকাতেই পরিবহণ পরিষেবা যথেষ্ট দুর্বল। কাজেই অফিসযাত্রীদের কম পয়সায় দ্রুত অফিস পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বাইক ট্যাক্সি উপযোগী হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই পরিষেবা আরও জনপ্রিয় হবে বলেই আমাদের ধারণা।’’
তবে নতুন সংস্থার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতার দিকটি একই রকম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। সে জন্য নতুন সংস্থাকেও বাইকচালক নিয়োগের আগে তাঁদের বিষয়ে খতিয়ে দেখে নিতে বলা হয়েছে সরকার নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাকে দিয়ে। নিয়মিত বাইকগুলির চলাফেরার বিস্তারিত রেকর্ড রাখতে হবে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে। এমনকী, বাইক পরিষেবা দেওয়ার অ্যাপেই থাকতে হবে ‘প্যানিক বাটন’, যার মাধ্যমে যাত্রীর সঙ্গে সংস্থার, পুলিশের এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ দু’জনের নম্বর যুক্ত থাকবে। আর পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখে যাত্রীর জন্য পরিষ্কার হেলমেট রাখতে হবে। হেলমেট পরার আগে যাত্রীদের কাপড়ের টুপিও দিতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছে টুপি ফেলে দেবেন যাত্রীরা।