Sonarpur

খুনের এক মাস পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা

সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সাহিদ মণ্ডল নামে ২৫ বছরের ওই যুবককে গত ১৪ অগস্ট রাতে বাড়ির কাছেই গুলি করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনারপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ইএম বাইপাস সংলগ্ন নরেন্দ্রপুরের কুমড়োখালিতে মোটরবাইক চড়ে এসে প্রকাশ্যে এক যুবককে গুলি করে মেরেছিল তিন দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার পরে এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। শহরের এত কাছে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত আদৌ ঠিক মতো হচ্ছে কি না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।

Advertisement

সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সাহিদ মণ্ডল নামে ২৫ বছরের ওই যুবককে গত ১৪ অগস্ট রাতে বাড়ির কাছেই গুলি করা হয়েছিল। পরে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, তিন যুবক বাইকে চেপে এসে গুলি করেছিল সাহিদকে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। গত এক মাসে দুষ্কৃতীদের ছুঁতেও পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে একাধিক বার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাহিদের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। নিহতের বাবা শাহজাহান মণ্ডলের কথায়, “তরতাজা ছেলেটাকে হারালাম। দোষীরা শাস্তি পেলে একটু শান্তি পেতাম। কিন্তু পুলিশ তো কাউকে ধরলই না। আমার মনে হয়, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে পুলিশের। প্রয়োজনে আদালতে যাব।” আনাজ ও পরিবহণ সংক্রান্ত ব্যবসা রয়েছে শাহজাহানের। সেই ব্যবসাই দেখাশোনা করতেন সাহিদ। এলাকায় নির্বিবাদী ও ভাল ছেলে বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। এমন এক জনকে কেন খুন করা হল, তা ভেবে পাচ্ছেন না প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন। শাহজাহান জানান, সাহিদের জীবনযাপন দেখে তাঁকে অনেকেই হিংসে করতেন। এই খুনে তাঁদেরও কারও হাত থাকতে পারে।

খুনের কারণ নিয়ে অন্ধকারে পুলিশও। সাহিদের সঙ্গে কারও ব্যবসায়িক কোনও দ্বন্দ্ব বা সম্পর্কের টানাপড়েন ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সিসি ক্যামেরায় তিন জনকে দেখা গেলেও তাদের মুখ বোঝা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে সাহিদকে। মৃত্যুর পরে সাহিদের বাড়িতে ঘুরে গিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকীরা। সুজন বলেন, “কলকাতার উপকণ্ঠে সিসি ক্যামেরায় ঘেরা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটল, অথচ এক মাসেও কাউকে ধরতে পারল না পুলিশ? তা হলে কি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে?” নওসাদের কথায়, “পুলিশ চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারত। কেন করেনি, সেটাই রহস্য।”

Advertisement

স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেন, “আমরা চাই, দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়ুক। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।” বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার পার্থ ঘোষ বলেন, “তদন্ত চলছে। আশা করছি, দ্রুত অপরাধীরা গ্রেফতার হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement