প্রতীকী ছবি।
রাতে নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখে স্কুলে লুটপাট চালাল একদল দুষ্কৃতী। রবিবার গভীর রাতে, নরেন্দ্রপুর থানার নয়াবাদ হাইস্কুলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন রাতে ১০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল স্কুলের মূল লোহার দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে। দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষী আজম শেখ। এর পরেই দুষ্কৃতীরা আজমকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে স্কুলের ভিতরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তার পরেই তাঁকে প্রধান শিক্ষকের ঘরে নিয়ে যায়। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের ঘর-সহ আরও দু’টি ঘরের আলমারি ভাঙা হয়। নগদ টাকা লুট করা হয়। প্রধান শিক্ষক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলে তহবিলের ২৯ হাজার টাকা একটি আলমারিতে ছিল। ওই টাকা লুট করা হয়েছে। অফিসের সব নথিপত্র ওলটপালট করা হয়েছে।’’ নিরাপত্তারক্ষী আজম বলেন, ‘‘আমাকে বেঁধে রাখার পরে আলমারি থেকে নগদ কুড়ি হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। দু’টি মোবাইল ফোনও নেওয়া হয়েছে।’’
আজম পেশায় রাজমিস্ত্রি। সে আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। প্রায় বছর দশেক ওই স্কুলে রাতে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করছেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, ওই দুষ্কৃতীরা স্কুলের শিক্ষকদের সমন্ধে খুবই ওয়াকিবহাল। স্কুলের শিক্ষকদের নাম ধরে ডাকাডাকি করছিল। এমনকি নিরাপত্তারক্ষী আজমকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও আর এক শিক্ষককের নাম করে ঘরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল। দুষ্কৃতীরা স্থানীয় বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।