পঞ্চসায়র গণধর্ষণ-কাণ্ডে ধৃত নাবালক। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চসায়রে গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত কিশোরকে সাবালক হিসেবেই গণ্য করে শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া। লালবাজার সূত্রের খবর, ধৃত কিশোর বয়সে নাবালক হলেও অপরাধের ধরন দেখে তাকে সাবালক হিসেবে গণ্য করতে কলকাতা পুলিশ আগেই আবেদন করেছিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত বোর্ড মঙ্গলবার ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই রিপোর্ট শিগগিরই জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে জমা দেওয়া হবে। নাবালক এখন সাবালক প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে নিতেও সমস্যা হবে না।’’
গত ১১ নভেম্বর রাতে পঞ্চসায়রের একটি হোম থেকে বেরিয়ে গণধর্ষিতা হন এক মহিলা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ উত্তম রাম নামে এক ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করে। উত্তমকে জেরা করে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা এক নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্ভয়া-কাণ্ডের পরে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বয়স ১৬ বছর হলেই তাকে সাবালক হিসেবে গণ্য করতে আইন পরিবর্তিত হয়েছে। পঞ্চসায়রের ঘটনায় ধৃতের বয়স ১৭ বছর ৬ মাস। তা জানার পরেই ওই কিশোরকে সাবালক হিসেবে গণ্য করতে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে আবেদন করে লালবাজার। সেই আবেদন পাওয়ার পরে ওই কিশোরের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিচার করে রিপোর্ট দিতে বলেছিল বোর্ড।
লালবাজার জানিয়েছে, ওই কিশোরের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির বিচার আগেই হয়েছিল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এন আর এসের চিকিৎসকেরা তার মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা নেন। প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে লালবাজার মনে করছে, এ রাজ্যে এই প্রথম ধৃত কোনও নাবালককে সাবালক হিসেবে গণ্য করে বিচার হবে।