উদ্ধার মদের বোতলের লক্ষাধিক ছিপি, ধৃত ৩

গত মঙ্গল ও বুধবার বেলেঘাটা এবং মহেশতলায় হানা দিয়ে রাজ্য আবগারি দফতরের অফিসারেরা এমন কয়েক লক্ষ ছিপি উদ্ধার করেছেন। বেআইনি ছিপি তৈরির অভিযোগে বেলেঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গোপাল ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে। মহেশতলা থেকে ধরা পড়েছেন পুলক সাঁতরা ও রাজা মণ্ডল নামে দু’জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০১:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

লুকিয়ে চুরিয়ে মদের বোতলের ছিপি তৈরি চলছিল শহরে। সেই মদ, যা বেআইনি ভাবে তৈরি হয়ে লকডাউনের সময়ে চাহিদা মিটিয়েছে বহু মানুষের।

Advertisement

গত মঙ্গল ও বুধবার বেলেঘাটা এবং মহেশতলায় হানা দিয়ে রাজ্য আবগারি দফতরের অফিসারেরা এমন কয়েক লক্ষ ছিপি উদ্ধার করেছেন। বেআইনি ছিপি তৈরির অভিযোগে বেলেঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গোপাল ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে। মহেশতলা থেকে ধরা পড়েছেন পুলক সাঁতরা ও রাজা মণ্ডল নামে দু’জন।

আবগারি দফতরের স্পেশ্যাল কমিশনার (এনফোর্সমেন্ট) সুব্রত বিশ্বাস জানিয়েছেন, যে সব মদ দোকানে বিক্রি হয়, সেগুলির প্রস্তুতকারকদের কাছে আবগারি লাইসেন্স থাকে। তাঁরা ছিপি ও লেবেল তৈরির বরাত দেন অন্যকে। ছিপি তৈরির সময়ে যাঁদের ধরা হয়েছে, তাঁদের কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর বরাতপত্র নেই।

Advertisement

তা হলে তাঁরা কাদের ছিপি সরবরাহ করছিলেন? আবগারি দফতরের সন্দেহ, লকডাউনের সময়ে যখন রাজ্যে মদের দোকান বন্ধ ছিল তখন বিপুল চাহিদা সামাল দিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাঁটি স্পিরিট থেকে মদ তৈরি শুরু করেন। সেই মদ বাজারচলতি দেশি ও বিদেশি মদের মোড়কে বিক্রিও শুরু হয়। অনুমান, ওই ব্যবসায়ীদেরই ছিপি সরবরাহ করতেন গোপালেরা। বাজেয়াপ্ত হওয়া ছিপির উপরে তাই ব্র্যান্ডের নামও লেখা রয়েছে। কোথাও কোথাও সিল রয়েছে ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়ের আবগারি দফতরেরও।

সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘ক্রেতাদের যাতে সন্দেহ না-হয়, তাই তাঁদের বোঝানো হয়েছে এই সব মদ আসছে ভিন্ রাজ্য থেকে। আসলে এই রাজ্যেই তা বেআইনি ভাবে তৈরি হয়েছে।’’

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement