তৃতীয় দিনের মিছিলে থমকাল মধ্য কলকাতা

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া সেতু ধরে ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছন। ফলে বেলা ১টা থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং ব্রেবোর্ন রোড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৩
Share:

মিছিলের জেরে যানজট স্ট্র্যান্ড রোডে। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের জেরে বুধবার দুপুরে সপ্তাহের কাজের দিনে কার্যত কিছু ক্ষণ অচল হয়ে পড়ে অফিসপাড়া।

Advertisement

এ দিন বেলা ১টা থেকে হাওড়াগামী যানবাহন স্ট্র্যান্ড রোডে প্রায় ঘণ্টাখানেকের জন্য আটকে যায়। ওই রাস্তার যানজট পুরো কাটতে প্রায় আড়াইটে বেজে যায়। শুধু স্ট্র্যান্ড রোডই নয়, এ দিনের মিছিলকে কেন্দ্র করে মধ্য কলকাতার অনেক রাস্তায় গাড়ির চাপ ছিল যথেষ্ট। ওই রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম মহাত্মা গাঁধী রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, এস এন ব্যানার্জি রোড এবং জওহরলাল নেহরু রোড। স্ট্র্যান্ড রোডের গাড়ির জটে আটকে থেকে বাধ্য হয়েই অনেককে বাস থেকে নেমে হেঁটে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছতে দেখা গিয়েছে। সুচরিতা নস্কর নামে এক যাত্রী বলেন, ‘‘ট্রেনে রিষড়া যাব। তাড়াহুড়ো ছিল, তাই ধর্মতলা থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম। স্ট্র্যান্ড রোডেই পঁয়তাল্লিশ মিনিট বসেছিলাম। ট্যাক্সির মিটারও চড়ছে। তাই হেঁটেই স্টেশনে যাব বলে নেমে গেলাম।’’

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া সেতু ধরে ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছন। ফলে বেলা ১টা থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং ব্রেবোর্ন রোড। ওই সময়ে মহাত্মা গাঁধী রোড থেকে যে সব বাস এবং গাড়ি স্ট্র্যান্ড রোডের অভিমুখে যাচ্ছিল, সেগুলিকেও আটকে দেওয়া হয়। ওই রাস্তায় যানবাহন আটকে থাকায় গাড়ির চাপ বাড়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। মিছিল যখন ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল পেরিয়ে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের দিকে যায়, তখন বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং পরে মিছিলের গতিপথ অনুযায়ী এসপ্লানেড ইস্ট, জওহরলাল নেহরু রোড এবং পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয়। ফলে, ধর্মতলা-সহ এস এন ব্যানার্জি রোড, শিয়ালদহ এবং মৌলালিতে গাড়ির চাপ বাড়ে।

Advertisement

তবে মিছিল বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে ঢুকতেই স্ট্র্যান্ড রোড খুলে দেওয়া হয়। ফলে, হাওড়ার দিক থেকে থেকে আসা সব গাড়িকেই রাজ ভবনের সামনে দিয়ে বার করে দেওয়া হয়। ওই সময়ে দক্ষিণ কলকাতা থেকে উত্তরগামী সব গাড়িকে মেয়ো রোড দিয়ে ঘোরানো হয়েছিল। ট্র্যাফিক সূত্রের খবর, অন্য দিনের তুলনায় দুপুরে গাড়ি কম থাকায় ধর্মতলা চত্বরে যানজট তীব্র আকার নেয়নি।

আরও পড়ুন: উত্তুরে হাওয়ার দাপট শুরু কলকাতায়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement