মেট্রো বিপত্তির জেরে স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র.
ফের মেট্রো লাইনে আগুনের ফুলকি। রবীন্দ্র সদন স্টেশনে আপ লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রো চলাচল। পরে আংশিক চালু করা হয়।
মেট্রো সূত্রে খবর, সোমবার বেলা পৌনে ১টা নাগাদ প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা প্রথম রেল লাইনে আগুনের ফুলকি দেখতে পান। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রেলকর্মীরা।
সেই সময় আপ লাইনে অর্থাৎ দমদমগামী লাইনে রবীন্দ্র সদন স্টেশনেও একটি রেক এসে দাঁড়ায়। মেট্রো কর্মীরা ওই রেক থেকে সমস্ত যাত্রীকে নামিয়ে দেন। এর পরই আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দীপাবলির দূষণে রাশ কলকাতা ও মুম্বইয়ে, বাজির দাপটে ‘আঁধার’ নামল দিল্লিতে
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী এত ছোট ঘরে থাকেন কী করে? মমতার কালীপুজোয় গিয়ে পার্থকে প্রশ্ন রাজ্যপালের
কিছু ক্ষণ পরে সেন্ট্রাল থেকে নোয়াপাড়া এবং টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু পুরো যাত্রাপথে কখন পরিষেবা চালু করা যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা জানিয়েছেন, গোটা প্ল্যাটফর্ম চত্বর কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। সেই সঙ্গে বাড়ে ভোগান্তি। এখনও মেট্রো কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু জানাননি কী ভাবে বিপত্তি।
যাত্রীরা এ দিন মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনা ঘটার পর অন্যান্য স্টেশনে মেট্রো কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট কোনও ঘোষণা করেনি রবীন্দ্র সদনের ঘটনার বিষয়ে। ফলে বিভ্রান্তির মধ্যে থেকে অনেকেই আধ ঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা মেট্রো স্টেশনে অপেক্ষা করে সময় নষ্ট করেন। টালিগঞ্জ স্টেশনে মেট্রোর জন্য অপেক্ষা করে বাইরে অটো স্ট্যান্ডে গিয়েও ভোগান্তির মুখে পড়েন অনেক যাত্রী। অভিযোগ, মেট্রো বন্ধ থাকায় দ্বিগুন ভাড়া চাইছেন অনেক অটো চালক। যাত্রীদের একই অভিজ্ঞতা হয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন স্টেশনেও।
বেলা দেড়টা নাগাদ রবীন্দ্র সদন স্টেশনে পৌঁছন মেট্রো আধিকারিকরা। তবে এক ঘণ্টার পরও পরিষেবা স্বাভাবিক করতে ব্যর্থ হন তারা। কী কারনে আগুন এবং বিপত্তি তা নিয়ে মুখ খোলেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রে খবর, কর্মীরা প্রায় সওয়া এক ঘণ্টা ধরে ময়দান এবং রবীন্দ্র সদনের মধ্যবর্তী অংশে টানেলে প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজ করেন। তারপর পৌনে দু’টো নাগাদ ফের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার সঙ্গে সঙ্গে ফের এর বার লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। ফলে ফের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও মেরামতির কাজ চলছে। কিন্তু কখন চাঁদনি থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত অংশে মেট্রো পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ২টো ৩৬ মিনিটে লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে এনে ট্রেন চালানো শুরু হয় চাঁদনি চক এবং টালিগঞ্জ স্টেশনের মধ্যে। সব মিলিয়ে পৌনে দু’ঘণ্টা বিপর্যস্ত থাকে মেট্রো পরিষেবা।