অন্ধকার সুড়ঙ্গে আটকে সেই মেট্রো।—নিজস্ব চিত্র।
ভিড়ে ঠাসা মেট্রো আটকে গেল অন্ধকার সুড়ঙ্গে। দমদমগামী একটি মেট্রো দাঁড়িয়ে পড়ে মহাত্মা গাঁধী রোড এবং গিরিশ পার্ক স্টেশনের মাঝে।
সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে দমদমগামী ওই মেট্রোতে এসপ্লানেড স্টেশন থেকে উঠেছিলেন শঙ্কর নিয়োগী। তিনি বলেন, “রেকটি নন এসি ছিল। মহাত্মা গাঁধী স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়।”
শঙ্কর ছিলেন রেকের সামনের দিকে। তাঁর সঙ্গে একই কামরায় ছিলেন সুলগ্না মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের চারপাশে তখন অন্ধকার সুড়ঙ্গ। দরজা বন্ধ। এদিকে ভেতরে ঠাসা ভিড়।” অন্ধকারের মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।অনেকেই ভয় পেয়ে পরিচিতদের ফোন করতে শুরু করেন। মোবাইলের আলো জ্বেলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন অনেক যাত্রী। এক যাত্রী বলেন,“নন এসি কামরা বলে তা-ও বাঁচোয়া। না হলে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হত।” আতঙ্কে এবং নামার সময় হুড়োহুড়িতে অজ্ঞান হয়ে যান এক মহিলা যাত্রী।
আরও পড়ুন: নিমতলা শ্মশানে ঝুলল তালা! ঘণ্টা তিনেক বন্ধ শেষকৃত্য
আরও পড়ুন: ‘সাপ আপকা পয়সা খা গিয়া’… ছিনতাইয়ের নয়া কায়দা কলকাতায়
এ ভাবে মিনিট পাঁচেক কাটার পরে যাত্রীরা ঘোষণা শুনতে পান। যাত্রীদের বলা হয় ট্রেনের পেছন দিকে হেঁটে আসতে। যাত্রীরা জানান, ট্রেনের তিনটে কামরা প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। বাকি কামরার দরজা খুলে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে আনা হয়।প্রাথমিক ভাবে মেট্রো কর্মীদের অনুমান, ওই রেকের সমস্যার জন্যই ঘটনাটি ঘটেছে। কারণ তাঁদের দাবি থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ ছিল। ডাউন লাইনেও বিদ্যুৎ ছিল। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“আমার কাছে এ রকম কোনও খবর নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
যাত্রীদের দাবি রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আপ লাইনে মেট্রোর ওই রেকটিকে সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে, কবি সুভাষ থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ময়দান থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো বন্ধ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৭টা ৪০ মিনিটে আগের রেকটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করে।