তৎপরতা: চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের গর্ত বোজানোর কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
ফের মেট্রোর কাজের জেরে রাস্তায় গর্ত। এ বারের ঘটনাস্থল চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের অ্যাপ্রোচ রোড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে কাজের জেরেই এই বিপত্তি। খবর পেয়ে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-এর কর্মীরা এসে সেই গর্ত বুজিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, এই মেট্রোপথে পাইলিংয়ের কাজের জন্য এর আগে ইএম বাইপাসের মেট্রোপলিটনের কাছে গড়িয়াগামী রাস্তার এক দিকে ধস নেমেছিল। এ বার গর্ত দেখা গেল চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের রাস্তায়। দিনকয়েক আগে ওই গর্ত তৈরি হলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি সামনে আসে। উড়ালপুল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ-র আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, এই গর্তের সঙ্গে উড়ালপুলের মূল কাঠামোর সম্পর্ক নেই। উড়ালপুলের ক্ষতিরও আশঙ্কা নেই। সংস্থার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘গর্ত দেখা যাওয়ার পরেই আমরা আরভিএনএল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওরা গর্ত মেরামত করে রাস্তা ঠিক করার কাজ শুরু করেছে।’’
মেট্রোর কাজের জন্য রাস্তায় ফাটল অবশ্য নতুন ঘটনা নয়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করতে গিয়ে বৌবাজারের একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। তার জেরে আজও বহু মানুষ নিজেদের ভিটেবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন।
আরভিএনএল-এর আধিকারিকেরা অবশ্য দাবি করেছেন, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের উপরে তৈরি হওয়া ওই সব গর্ত মেরামতির কাজ সামান্য বাকি। সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘পাইলিংয়ের কাজের সময়ে রাস্তার নীচের স্তরে কিছু সমস্যার জন্য ওই গর্ত তৈরি হয়েছিল। তবে এর জন্য উড়ালপুলে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হয়নি।’’
অন্য দিকে, প্রবল গরমের কারণে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের নেতাজি আইল্যান্ডের কাছে রাস্তায় ধস নামে। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিধাননগর পুরসভা। প্রায় আড়াই ফুট গর্ত হয়ে যায় রাস্তার উপরে। সেই গর্তে এক বালককে ঢুকিয়ে প্রতিবাদ করেন একটি বিরোধী দলের এক স্থানীয় নেতা। খবর পেয়েই পুর আধিকারিকেরা গিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করেন। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেউ রাজনীতি করতেই পারেন। কিন্তু গরমে অনেক সময়ে রাস্তায় ধস নামে। এ ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে।’’