ভোগান্তি: তখনও চালু হয়নি পরিষেবা। গিরিশ পার্ক স্টেশনের বাইরে যাত্রীদের ভিড়। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
প্রাক্ বড়দিনের বিকেলে বিভ্রাটের মুখে পড়ল কলকাতা মেট্রো।
মেট্রো সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৫০ নাগাদ গিরিশ পার্ক স্টেশনে আচমকা বিকল হয়ে যায় কবি সুভাষগামী একটি নন এসি রেক। প্রায় আধ ঘণ্টা চেষ্টা করেও সেটি সচল করতে পারেননি চালক। বড়দিনের আগে এমনিই ভিড় ছিল মেট্রো স্টেশন এবং ট্রেনে। তারই মধ্যে এই বিভ্রাটের জেরে ডাউন লাইনে দমদম পর্যন্ত পরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। শেষে প্রায় ২০ মিনিট পরে ওই রেকটি খালি করার সিদ্ধান্ত নেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ ওই ট্রেন থেকে যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়। এর পরে ফাঁকা রেকটি নিয়ে যাওয়া হয় কবি সুভাষে।
প্রায় আধ ঘণ্টা এই বিপত্তি চলায় বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েন এসপ্লানেড,ৈ পার্ক স্ট্রিট এবং রবীন্দ্র সদনগামী বহু যাত্রী। ভিড় কমাতে সেন্ট্রাল থেকে কবি সুভাষের মধ্যে একটি পৃথক ট্রেন চালানো হয়। অনেকে আবার মেট্রোর ভরসায় না থেকে সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। মেট্রোর পক্ষ থেকে বিভ্রাটের কথা জানিয়ে ঘোষণা করা হলেও ঠিক কী কারণে ট্রেন আটকে পড়েছে, তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়নি। মেট্রোর পুরনো রেকে সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও কেন সেগুলি এখনও চালানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন যাত্রীদের একটা বড় অংশ।
এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ দমদম স্টেশনে আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেখি, ট্রেন আর ছাড়ছে না। কিছু ক্ষণ পরে ঘোষণায় জানানো হয় গিরিশ পার্ক স্টেশনে যান্ত্রিক গোলযোগের কথা। ততক্ষণে স্টেশনে রীতিমতো ভিড় হয়ে যাওয়ায় সাময়িক ভাবে টিকিট দেওয়া বন্ধ করে দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।’’ বেলগাছিয়া থেকে মেট্রোয় চাঁদনি চকে অফিসে আসছিলেন এক তরুণী। তিনি আটকে পড়েন শ্যামবাজার স্টেশনে। ওই তরুণীর কথায়, ‘‘বিকেলের মেট্রোয় তখন যথেষ্ট ভিড়। কিন্তু বিভ্রাটের জেরে মিনিট কুড়িরও বেশি আটকে ছিলাম। বাধ্য হয়ে বাস ধরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে অফিসে পৌঁছই।’’
মেট্রোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কবি সুভাষগামী ওই নন এসি রেকটিতে এ দিন ব্রেক আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ব্রেক ঠিক মতো কাজ না করায় সেটিকে আর চালানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। যাত্রীদের নামিয়ে রেকটি নিয়ে যাওয়া হয় কবি সুভাষ স্টেশন সংলগ্ন মেট্রোর ইয়ার্ডে।