Coronavirus

সচেতন করতে দত্তাবাদের দরজায় কর্তৃপক্ষের পুর বার্তা 

মঙ্গলবার বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ এলাকায় দেখাও গেল তেমনই প্রচারের এক ঝলক। এ দিন এলাকার প্রতিটি বাড়ির দরজায় পৌঁছে ডেঙ্গি এবং করোনাভাইরাসের প্রকোপ রুখতে সতর্কতার বার্তা লেখা কাগজ সাঁটিয়ে দিচ্ছিলেন পুরকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ০২:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা এবং ডেঙ্গির মোকাবিলায় শুধু হোর্ডিং, ব্যানার, মাইকের প্রচারেই আটকে থাকবে না তারা, বরং বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতে চাইছে বলে জানাচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। তাদের অভিযোগ, নাগরিকদের একটি অংশের এখনও হুঁশ না ফেরায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন।

Advertisement

মঙ্গলবার বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ এলাকায় দেখাও গেল তেমনই প্রচারের এক ঝলক। এ দিন এলাকার প্রতিটি বাড়ির দরজায় পৌঁছে ডেঙ্গি এবং করোনাভাইরাসের প্রকোপ রুখতে সতর্কতার বার্তা লেখা কাগজ সাঁটিয়ে দিচ্ছিলেন পুরকর্মীরা। এর আগে অবশ্য পুরকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রচারের কাজও করেছেন কাউন্সিলরেরা। পুলিশ প্রশাসনের তরফেও মাইকে প্রচার করা হয়েছে। এমনকি প্রবীণ নাগরিকদের বোঝাতে বিধাননগর পুলিশ ‘সাঁঝবাতি’ প্রকল্পের আওতাতেও প্রচার করেছে।

তবুও বিধাননগরের বাজারে সেই ভিড়, সেই দূরত্ব-বিধি না মানা, মাস্ক না পরার ছবিটাই অহরহ দেখা যাচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লক এলাকাও। তাই ক্লাব এবং সামাজিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে এ বার বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সোমবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭০০। সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা নাগরিকের সংখ্যা আটশোর বেশি।

নিয়ম না মানার ছবি বেশি দেখা যাচ্ছিল দত্তাবাদের মতো অতি ঘিঞ্জি এলাকায়। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় জনঘনত্ব বেশি। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেখানকার ৪০ জনেরও বেশি বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জন বাসিন্দা মারাও গিয়েছেন। মাসখানেকেরও বেশি ওই এলাকা থেকে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর ছিল না। কিন্তু ফের কয়েক জনের শরীরে কোভিডের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, প্রচার চলবে। পাশাপাশি প্রতিটি বাড়ির দরজায় এবং বিভিন্ন জায়গায় বার্তা সাঁটানো হচ্ছে, যাতে ঘর থেকে বেরোলেই চোখে পড়ে।

দত্তাবাদের মতোই রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা এবং কয়েকটি সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যেও নিয়ম না মানার প্রবণতা এখনও দেখা যাচ্ছে। এমনকি প্রবীণদেরও বাইরে বেরোতে দেখা যাচ্ছে, যা চিন্তায় ফেলছে প্রশাসনকে।

মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, সচেতন করতে ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে হবে। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে শুরু।

এ জন্যই স্থানীয় ক্লাব এবং বাসিন্দাদের সংগঠনগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement