পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
পনেরো বছর বয়সের গেরোয় শহর থেকে উঠে যেতে বসেছে হলুদ ট্যাক্সি। ওই ট্যাক্সির ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি, বিপুল খরচ করে চালকদের নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সমস্যার সুরাহা খুঁজতে পরিবহণ দফতরের সাহায্য চেয়েছিল ট্যাক্সিচালকদের একাধিক সংগঠন। সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এআইটিইউসি অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
এ দিনের বৈঠকে অন্যান্য গাড়িকে কী ভাবে হলুদ ট্যাক্সি হিসাবে চলতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও হলুদ ট্যাক্সির পার্কিং সংক্রান্ত সমস্যা, যাত্রী সাথী অ্যাপে যে ভাড়ার হার চালু রয়েছে, তা হলুদ ট্যাক্সির মিটারে চালু করার কথা বলেন তাঁরা। সংগঠন সূত্রের খবর, সব সমস্যা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
ট্যাক্সি সংগঠনের তরফে হাওড়ায় প্রি-পেড বুথ থেকে চালকদের ভাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় বৈঠকে। যাত্রী সাথী অ্যাপে ভাড়ার হার সংস্কার করার কথা বলা হয়। পরিবহণমন্ত্রী জানান, হলুদ ট্যাক্সির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার সহানুভূতিশীল। ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব জানান, চালকদের জন্য নতুন ট্যাক্সি কেনার ক্ষেত্রে সরকার যাতে সহায়ক নীতি নেয়, সেই আবেদন জানিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন।